কথায় আছে, ইতিহাস তার নিজের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে। জাপানি একটি মিডিয়ার খবর থেকে প্রকাশিত তথ্য বলছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমেরিকার পতন হবে। ঠিক সেভাবেই, যেমন পতন হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের। এমএসআইয়ের খবরে প্রকাশ, নোগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসর কোবায়াসি কোইচি এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তার মতে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতন হবে। যেভাবে পতন হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের। এই পতনকে বিশ্ববাসী নিজের চোখে দেখতে পারবেন বলেই মনে করছেন এই প্রফেসর। তার মতে, তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে এই পতনের।
১।
আমেরিকার বিদেশনীতি
২। মার্কিন নাগরিকদের স্বাধীনতা
৩। যন্ত্রের প্রয়োগে আধিক্য
আমেরিকায় কিছুদিন আগেই এক কৃষ্ণাঙ্গের ওপর হামলা করে একদল। পরবর্তীকালে কৃষ্ণাঙ্গরাও মার্কিন নাগরিকদের ওপর হামলা করে সেই ঘটনার বদলা নেন। ঘটনাটি নিয়ে বেশ শোরগোল পড়েছিল মার্কিন মুলুকে। এই ধরনের দাঙ্গা এর আগেও আমেরিকায় হয়েছে। তবে আগামী দিনে এই ঘটনা আরও বাড়বে। প্রশাসন কার দিকে তাদের সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেবে তার ওপর নির্ভর করবে সেই সময়ের পরিস্থিতি। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা যেভাবে বিদ্রোহ করেছিলেন তা এই ঘটনার নতুন একটি দিক সামনে আনে। বিদ্রোহীদের হাতে যে ধরনের অস্ত্রের হদিস মিলেছে তা অতি উন্নত।
এর পাশাপাশি একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই মার্কিন দেশে মার্কিনীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে। সেদিক থেকে দেখা যায়, কৃষ্ণাঙ্গদের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে আসা বিদেশীরা তাদের আধিক্য বাড়িয়ে চলেছে। এই ধারা চলতে থাকলে আগামী দিনে মার্কিন নাগরিকরা যথেষ্ট চাপের সামনে পড়বেন। তাদেরকে ছাপিয়ে যাবে বিদেশীরা। ফলে মার্কিন রাজনীতি যথেষ্ট পরিমাণে পরিবর্তন হবে। সাদা এবং কালোর এই লড়াইতে শেষ হাসি কে হাসবে সেকথা এখনই বলা না গেলেও অনুমান করা যায় এই অবস্থা ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। মার্কিন প্রসিডেন্ট পদে যে কেউ থাকুক না কেন বিরোধীরা তাদের ক্ষোভ বারে বারে সামনে নিয়ে আসবে। বাইডেনের ক্ষেত্রে যা হয়েছে তা আগামী দিনে আরও হবে বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। তবে এই ঘটনা দ্রুত না হতেও পারে। আমেরিকার প্রশাসন এতটাই কড়া ধাতের যে তাকে অবহেলা করা অতটা সহজ নয়। ঘরোয়া ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা অতি সহজেই সামলাতে পারে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিনীদের হাতে বিশ্বের সবথেকে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। তাই যদি সোভিয়েত ইউনিয়নের মত এর পরিণতি হয় তবে তার প্রভাব থেকে বিশ্ববাসীও মুক্ত হতে পারবে না।
একটি সময় ছিল যখন বিশ্বের যেকোনও দেশের নাগরিকরা আমেরিকায় গিয়ে কাজ করতে বা থাকতে পছন্দ করতেন। তবে এই ধারার বদল ঘটেছে। খোদ মার্কিন নাগরিকরা এবার বিশ্বের অন্য দেশে গিয়ে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করতে চাইছেন। তবে আগামী ১০ বছরেই কি ভেঙে যাবে আমেরিকা? এটা অনেকটা সেই আরব্য রজনীর গল্পের মত। হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। ইতিহাস নিজে থেকেই তার গতিপথ তৈরি করে। তাই এনিয়ে তর্ক চলতেই পারে। তবে তার শেষ কোথায় তা বলা কঠিন।