পিল খাইয়ে নারী শিষ্যদের ওপর যৌন নির্যাতনসহ নানা অভিযোগে ৬৪ বছরের জনপ্রিয় টিভি ধর্মপ্রচারক আদনান ওকতারকে ১০৭৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে তুরস্কের আদালত।
আদালতের সামনে বড়াই করে মুসলিম ধর্মগুরু আদনান ওকতার বলেছিলেন, ‘‘আমার এক হাজার বান্ধবী আছে’’। কিন্তু তার কথা শেষ পর্যন্ত শুনতে রাজি হয়নি আদালত। যৌন নির্যাতন-সহ মহিলাদের উপর অত্যাচারের একাধিক অভিযোগে ৬৪ বছরের জনপ্রিয় ধর্মগুরু ওকতারকে ১০৭৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার দেশটির একটি আদালতে ওকতারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন, প্রতারণা এবং রাজনৈতিক ও সামরিক গুপ্তচরভিত্তিক কাজের অভিযোগ আনা হয়। পরে আদালত এ রায় দেন।
ওকতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, অশ্লীল পোষাক পরা নারী নিয়ে থাকতেন তিনি এবং তাদেরকে ‘বিড়াল ছানা’ বলে ডাকতেন ওকতার।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডন অনলাইন জানিয়েছে, আদনান ওকতার যখন সৃজনশীলতা এবং রক্ষণশীল মূল্যবোধের প্রচার করতেন, তখন নারীরা অর্ধনগ্ন পোশাকে টিভি স্টুডিওতে সংগীতকে উজ্জীবিত করার জন্য তার চারপাশে নৃত্য করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীরা অনেকেই প্লাস্টিক সার্জারি করেছিল।
২০১৮ সালে দুই শতাধিকের বেশি অনুসারীসহ আদনান ওকতারকে গ্রেপ্তার করে ইস্তানবুল পুলিশ।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম আনাদলু এজেন্সি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ধর্মপ্রচারক ফেতুল্লা গুলেনের নেতৃত্বে ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানেও আদনান ওকতার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর আগে ডিসেম্বরে ওকতার বিচারককে বলেছিলেন, তার প্রায় এক হাজার গার্লফ্রেন্ড রয়েছে। অক্টোবরে এক শুনানিতে ওকতার বলেছিলেন, নারীদের জন্য আমার হৃদয়ে ভালবাসা উপচে পড়া। প্রেম একটি মানবিক গুণ। এটি একটি মুসলিমের গুণ। আরেক শুনানিতে তিনি বলেন, আমি অসাধারণ শক্তিমান।