কিছু কিছু নেতার কাজ হচ্ছে বিদেশে গিয়ে নারী নিয়ে থাকা ও জুয়া খেলা। পাবলিকের টাকা লুটপাট করে খাওয়া।’ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুর কাদের মির্জা মঙ্গলবার সকালে আট নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ নুরুল হক অডিটরিয়ামে এক কর্মী সভায় এসব কথা বলেন। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী।
সভায় তিনি আরো বলেন, ‘এসব কথা বলার জন্য কর্তৃপক্ষ আমাকে জেলে দিলে দিক। মেরে ফেললে ফেলুক। কবর দিয়ে আসবেন।’
আবদুল কাদের মির্জা আরো বলেন, ‘নোয়াখালীর এমপি একরাম চৌধুরী বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের টাকা দিয়েছে, আমাকে হারানোর জন্য।’
তিনি তার ভাই ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাকে স্বঘোষিত মেয়র প্রার্থী বলেছেন। আমি কি স্বঘোষিত মেয়র প্রার্থী? আমি নাকি তার জোরে কথা বলি। তিনি এগুলো বলে আমার সম্মানহানি করছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখানে পোলিং এজেন্ট ও প্রিজাইডিং অফিসার সব বিএনপি-জামায়াতের লোক। একজনও আমাদের নেই। সব পরিকল্পিতভাবে চলছে। ঢাকা থেকে কিছু নেতা এমন করছে। এক দল এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি, ওবায়দুল কাদের নয়, প্রশাসন নয়, কেন্দ্রীয় নেতারা নয়, এলাকার প্রশাসন বিদ্রোহ করছে। আপনারা ভোট কেন্দ্রে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন। ষড়যন্ত্র করলে ডিসি, এসপিসহ নেতাকে আসামি করা হবে। শাহদাত সাহেব (নির্বাচন অফিসার) জেলা নির্বাচন অফিসার তাদের দায়িত্ব নেবেন।’
তিনি জনতার লক্ষ্যে বলেন, ‘আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন। ঝামেলা করলে লাঠি দিয়ে পা ভেঙে দেবেন। চোর-ডাকাত মারলে উপকার আছে তবে পুরো মেরে ফেলবেন না। একরাম ও নিজামের লোক এলে পা ভেঙে দেবেন। দায়িত্ব আমি নেব। আমি পোলিং এজেন্ট দিয়ে দিয়েছি। আপনাদের নেতৃত্ব দেয়ার প্রয়োজন নেই, আপনাদের দায়িত্ব হলো ভোটার আনা। আপনারা ভোট আনবেন। কিছু কিছু নেতার ওপর আমার আস্থা কম।’