আরিফ আহমেদ কানাডা
মহামারীর সংক্রামন ঠেকাতে শনিবার ৯ ই জানুয়ারী থেকে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সন্ধ্যা ৮ ঘটিকা থেকে সকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত সমস্ত কুইবেক প্রদেশে কারফিউ জারি করা হয় এবং যারা এই কারফিউ অমান্য করবেন তাদেরকে ১০০০ থেকে ৬০০০ দলের পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।
শুক্রবার একটি টুইট বার্তায় প্রদেশের জননিরাপত্তা মন্ত্রী জেনেভিভ গিল্বল্ট জানিয়েছেন, “পুলিশ এই সপ্তাহান্তে খুব দৃশ্যমান হবে,”। “আসুন ঘরে বসে থাকি, জীবন বাঁচাই।” এই কারফিউ সময়কালীন শহরে প্রায় ১০০ জন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭তার সময় ফেইসবুক থেকে সকল কুবেক বাসীদের স্মার্ট ফোনে মেসেজ আসবে, ” সন্ধ্যা ৮ ঘটিকার মধ্যে ঘরের ভিতরে থাকুন বাইরে গেলেই জরিমানা।”
এই লকডাউন চলা কালিন সময়ে মুষ্টিমেয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যতীত সব কিছুই বন্ধ থাকবে। যারা কারফিউর সময় বাইরে থাকবেন এক বিশেষ ক্ষমতা বলে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এবং যদি যারা উপযুক্ত জবাব দিতে না পারেন তাদের জরিমানা করা হবে।
কুইবেকের প্রিমিয়াম ফ্রেঁওয়েস লেগাল্ট বলেন,” কার্ফিউয়ের মূল কারণ হ’ল জনগণকে একসাথে জড়িত হওয়া থেকে রোধ করা। মানুষ দূরত্ব বজায় রেখে চলতে পারলেই এই মহামারী প্রতিরুধ করা সম্ভব হবে।”
অনেকেই এই কারফিউ না দেয়ার জন্য প্রতিবাদ করছেন কিন্তু নাগরিক অধিকারের আইনজীবী বলছেন কারফিউ ন্যায়সঙ্গত।
এই মহামারীটি শুরু হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত শুধু কুইবেক শহরে ২২৬২৩৩ জন এখন পর্যন্ত কভিডে আক্রান্ত। এর মধ্যে ৮৬৪৭ জন মৃত্যু বরন করেন এবং এখন পর্যন্ত ৭৫১২৩ জনকে প্রথম পর্যায়ের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
কুইবেক ছাড়াও কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে এই মহামারী শাই শাই করে বেড়েই যাচ্ছে। অন্টারিও প্রভিন্স গত ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত লক ডাউন। কিন্তু এই লোকডাউন আরো বর্ধিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য যে কুইবেক শহরে ১৯১৮ সালে স্পেনিশ ভাইরাসের সময় সর্ব প্রথম কারফিউ জারি করা হয়েছিল। তখন
অনুমান করা হয় যে বিশ্বের প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বা এক তৃতীয়াংশ লোক এই স্পেনিশ ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছিল।