ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে করা দু’টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। ওই প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল, তদন্তে তার যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরফানকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, ইরফানের কাছে নয়, অস্ত্র ও মাদক পাওয়া গেছে তার সহযোগী জাহিদের কাছ থেকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্তে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এজন্য ইরফানকে অব্যাহতি দিতে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তবে তার দেহরক্ষী জাহিদুলের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ কারণে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেবো।
উল্লেখ্য, গত ২৫শে অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কমিশনার ইরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬শে অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটারায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাব’র ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ৬ মাসের সাজা দেন। অতঃপর চকবাজার থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক ২টি মামলা করা হয়।