ব্রেক্সিটপরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য সরকার। মাছ ধরার অধিকার ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্যবিধি নিয়ে কয়েক মাস ধরে চলা মতানৈক্যের পর অবশেষে ঐতিহাসিক চুক্তিতে পৌঁছাল দুই পক্ষ। এর মধ্য দিয়ে আগামী ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। খবর বিবিসি ও এএফপির।
ব্রেক্সিটপরবর্তী সময়ে ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে কোনোভাবেই দুই পক্ষ একমত হতে পারছিল না। অবশেষে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দুই পক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইইউর প্রধান উরজুলা ফন দেয়ার লায়েনের মধ্যে বৈঠকে চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত হয়। জনসন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের আইন ও ভবিষ্যতের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছি।’ তিনি বলেছেন, উত্তপ্ত বিতর্কের পর যে চুক্তি হয়েছে তা সমগ্র ইউরোপের জন্য মঙ্গলজনক। এতে কর্মসংস্থান ও সমৃদ্ধি বাড়বে।
ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা ব্রেক্সিট সম্পন্ন করেছি এবং যেসব সুযোগ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, তার পুরো সুবিধা তুলে নিতে পারব।’ উরজুলা বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তাদের একটি ‘ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ’ চুক্তি হয়েছে। ব্রাসেলসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটি ছিল একটি দীর্ঘ ও ঝড়-ঝঞ্ঝাপূর্ণ পথ। কিন্তু আমরা একটি ভালো চুক্তিই পেয়েছি।’ তিনি বলেছেন, এখন নতুন অধ্যায় শুরু হলো। যুক্তরাজ্য ইইউর বিশ্বস্ত অংশীদার।
গত জানুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যায় যুক্তরাজ্য। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দেশটির ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবে, তার রূপরেখা নির্ধারিত ছিল না। অবশেষে প্রায় এক বছর পর সমাধান মিলল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা ব্রেক্সিট সম্পন্ন করলাম।’ সঙ্গে নিজের হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোনসহ ইউরোপের নেতারা এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। চুক্তিটি যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে। এ নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর আলোচনায় বসবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।