বাংলাদেশ ডাক অধিদফতরে শত শত কোটি টাকা লোপাটের হোতা সুধাংশু শেখর ভদ্রকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হলেও অধরাই রয়ে গেছেন তার বিশ্বস্ত সহযোগীরা। কৌশল পাল্টে ঘাপটি মেরে আছেন তারা। কেউ কেউ গোপনে এখনও সহযোগিতা করছেন ভদ্রকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লক্ষ করা যাচ্ছে শৈথিল্য। বিষয়টি জন্ম দিয়েছে রহস্যের। কারণ, অধরা এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর পকেটে রয়েছে দুর্নীতিলব্ধ বিপুল অবৈধ অর্থ। তাই দ্রুত এদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে অধিদফতরের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য থেকে।
সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ডাক অধিদফতরের ছুটিতে থাকা মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলমান রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও শত শত কোটি টাকা আত্মসাত এবং অপচয়ের অভিযোগে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় এরই মধ্যে তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছে তার ঘনিষ্ঠ পরিদর্শক রাবেয়া খাতুন এবং তার পরিবারের সদস্যদের। তার বিরুদ্ধেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এসব ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বেরিয়ে আসছে ভদ্রের দুর্নীতি এবং অবৈধ সম্পদের নতুন তথ্য। তথ্য মিলছে তার দুর্নীতির সহযোগী ও বিশ্বস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতিরও।
সূত্রমতে, প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে ভিন্ন ধরনের দুর্নীতির ফরম্যাট চালু করেন এস এস ভদ্র। ডাক কর্মকর্তারা এ দুর্নীতির নাম দিয়েছেন ‘থার্ড পার্টি ফরম্যাট’। এ প্রক্রিয়ায় কেনাকাটায় এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে সামনে রাখা হয় যে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তোলে না। প্রকল্পের যাবতীয় কেনাকাটার জন্য ভদ্র চুক্তিবদ্ধ হন এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেটি ক্রয়কৃত সামগ্রী নিজেরা তৈরি করে না। প্রস্তুতকারী কিংবা আমদানিকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কিনে সরবরাহ করে। অর্থাৎ প্রস্তুত কিংবা আমদানিকারী প্রতিষ্ঠানকে তিন নম্বরে। বাজারদরের চেয়ে বহু গুণ মূল্যে পণ্য সরবরাহ করে তিন নম্বরে থাকা এই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিল তুলে নেয় সামনে থাকা প্রতিষ্ঠান। ভদ্র ও তার সহযোগীদের কমিশন পৌঁছে দেয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি। এভাবেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে সুকৌশলে প্রকল্পের নামে হাতিয়ে নেয়া হয় শত শত কোটি টাকা।
অবকাঠামো নির্মাণ এবং কেনাকাটাগুলোতে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য ভদ্রের বিশ্বস্ত, বিশেষভাবে দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ব্যক্তি রয়েছেন। তারাই ‘কুশলী নির্মাতা’, ‘থার্ড ওয়েব টেকনোলজিস লি:’ কিংবা ‘আইটিসিএল’ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভাগাভাগির ‘মধ্যস্থতা’ করেন। ভদ্রের বিশ্বস্ত সহযোগীদের তালিকায় ডিপিএমজি মোস্তাক আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুর রাজী, পরিকল্পনা শাখার কর্মকর্তা শংকর, ডিপিডি শাহ আলম ভুইয়া, পরিদর্শক জসিম উদ্দিন, সহকারী জাকির হোসেন এবং ইলেকট্রিশিয়ান চাঁন মিয়ার নাম রয়েছে। তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।
এদের মধ্যে রাজধানীর শ্যামলীতে ডিপিএমজি মোস্তাক আহমেদের রয়েছে ২টি ফ্ল্যাট। ঢাকার উত্তরখানে তার পৈতৃক বাড়ি হলেও শ্যামলীর কেনা ফ্ল্যাটে তিনি বসবাস করেন। অফিসের গাড়িতে যাতায়াত করলেও তিনি নেমে যান বাসা থেকে কিছুটা দূরে, মেইন রোডে। সহকর্মীদের ফ্ল্যাট-হোল্ডিং না চেনাতেই তার এ কৌশল। ফ্ল্যাট দু’টির প্রকৃত মূল্য ৩ কোটি টাকার মতো। এছাড়া তার বেনামী বিনিয়োগ রয়েছে। নগদ অর্থও রয়েছে বেনামী অ্যাকাউন্টে। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে। মোবাইলে কল এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি তিনি।
ভদ্রের আরেক বিশ্বস্ত কর্মকর্তা পরিকল্পনা সেলের (এপিএমজি) শংকর চক্রবর্তী। ভদ্রের বিশ্বস্ত হওয়ায় আলাদীনের চেরাগ হাতে আসে তারও। খুব কম সময়ে তিনি গাড়ি-বাড়ির মালিক হন। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে প্রায় কোটি টাকায় নির্মাণ করেছেন ৩তলা ভবন। চড়েন ব্যক্তিগত গাড়িতে (নং-ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-৮৩৪৯)। ভাইকে পড়াশুনা করান ভারতে। এই সুবাদে তিনি প্রায়ই ভারত গমন করেন। এস এস ভদ্র ভারতে অর্থপাচার কাজেও শংকরকে ব্যবহার করেন বলে জানায় সূত্রটি। বাহ্যত ডাক অধিদফতরে চাকরি করলেও তিনি মূলত ইসকন’র (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) সক্রিয় কর্মী। করোনা পজেটিভ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর খুব কাছাকাছি চলে যাওয়ার ঘটনায় যখন এস এস ভদ্রের চাকরি যায় যায়- শংকর তখন স্থানীয় ইসকন নেতাদের মাঠে নামান ভদ্রের পক্ষে লবিং করতে। ভদ্র এবং শংকর সম্পর্কে হরিহর আত্মা। ভুৃয়া ভাউচার দিয়ে শংকর ডাক বিভাগের বহু অর্থ হাতিয়ে নেন। এছাড়াও ভদ্র তাকে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা দেন, যা অনেক কর্মকর্তা কল্পনাও করতে পারেন না। কনিষ্ঠ কর্মকর্তা হলেও ভদ্র তাকে বেইলি রোডে নিজ বাসার কাছাকাছি পোস্টাল কোয়ার্টারে বাসা বরাদ্দ দেন। বরাদ্দকৃত বাসার সরকারি অর্থে সাজ-সজ্জা করেন নিজ পছন্দমতো। এ কাজে তিনি ব্যয় করেন ১০ লাখ টাকার বেশি। এ কাজের কোনো টেন্ডারও হয়নি। খরচের কোনো ভাউচার নেই। অন্য খাতের বরাদ্দ থেকে অর্থ এনে খরচ করা হয় এই বাসায়। স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্নীতির কারণে সম্প্রতি তাকে চট্টগ্রাম বদলি করা হয়। কিন্তু সেখানে তিনি যোগদান না করে অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে থাকতে শংকর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিনি এক সময় দুদকে সহকারী পরিচালক হিসেবে চাকরি করতেন। এ সুবাদে তিনি ভদ্রের পক্ষে অতীতে এবং এখন দুদকে লবিং করছেন বলেও জানা যায়। এ বিষয়ে শংকর চক্রবর্তী বলেন, যেসব তথ্য উল্লেখ করেছেন এর কোনো সত্যতা নেই। যাচাই করে দেখুন। সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী আমি চট্টগ্রাম বদলির আবেদনটি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছি। আশা করছি হয়েও যাবে।
ডাক বিভাগের সূত্রটি জানায়, ২৫তম ব্যাচের গ্রেডেশনের সর্বকনিষ্ঠ কর্মকর্তা শাহ আলম ভুইয়াও ভদ্রের আরেক সহযোগী। তিনি একাই ভ্রমণ করেন অন্তত ৩০টি দেশ। অথচ কোনো ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলরাও এতগুলো দেশ ভ্রমণের সুযোগ পাননি। এস এস ভদ্র তাকেই বার বার বিদেশ যাওয়ার জন্য ‘নির্বাচন’ করেন। ৩৬৫ কোটি টাকার ‘মেইল প্রসেসিং সেন্টার প্রকল্প’র উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) শাহ আলম ভুইয়া ডাক অধিদফতরে ‘ম্যানেজ মাস্টার’ হিসেবে পরিচিত। ভদ্র প্রকল্পটির পিডি হলেও এটির প্রাণপুুরুষ হচ্ছেন শাহ আলম ভুইয়া। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে তার গ্রামের বাড়ি। প্রকল্পের দুর্নীতিলবদ্ধ অর্থে তিনি নিজ গ্রামের বাড়িতে তেমন কিছুই করেননি। তবে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শ্বশুরের প্লটে কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করেছেন ইমারত। ভবনটি নিজ অর্থে নির্মিত হলেও দাবি করেন, এখানে তিনি শ্বশুরপক্ষের কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন মাত্র। অবৈধ সম্পদ গোপন এবং আয়কর ফাঁকি দিতেই তার এ কৌশল। নামে-বেনামে তার রয়েছে বিপুল সম্পদ। রয়েছে বেনামী বিনিয়োগ। বিদেশেও অর্থপাচার করেছেন- মর্মে অভিযোগ রয়েছে। তবে ভদ্রকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হলেও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শাহ আলম ভুইয়া এখন স্বপদে রয়েছেন বহাল। দুদক এখনও তাকে স্পর্শ করেনি। এ বিষয়ে শাহ আলম ভুইয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের পারমিশন ছাড়া আপনার সঙ্গে আমার কথা বলার এখতিয়ার নেই। তবে জ্ঞানত আমি বিধি বহিভূত কোনো কাজ করিনি।
অবকাঠামো নির্মাণ এবং সংস্কার খাত থেকে ভদ্রের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ‘প্ল্যান মাস্টার’ হচ্ছেন প্রকৌশলী শামীমুর রাজী। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হলেও তাকে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে বসিয়ে রাখেন ভদ্র। বানিয়েছেন বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি)ও। কখনও বা ডিপিডি। দু’জনের বাড়ি একই জেলায় হওয়ায় কমিশনের অর্থ ভাগাভাগিতে রয়েছে অদ্ভুত সমঝোতা। তাই প্রায় সব অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পেই রয়েছেন শামীমুর রাজী। একাধারে তিনি যেমন ‘জরাজীর্ণ ডাকঘর মেরামত প্রকল্প’র ডিপিডি তেমনি ‘ভৌত অবকাঠামো প্রকল্পর’রও ডিপিডি।
সূত্রমতে, আগারগাঁওস্থ ডাক বিভাগের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ করা হয় শত কোটি টাকা ব্যয়ে। মতিঝিল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৮শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ৮টি ২০তলা ভবন। এ দু’টির কার্যাদেশ পায় ‘কুশলী নির্মাতা’। ‘ভৌত অবকাঠামো প্রকল্প’র আওতায় বনানী ডাকঘর নির্মাণের বরাদ্দ ৯০ কোটি টাকার বেশি। ‘কুশলী নির্মাতা’ই যাতে এটির কার্যাদেশ পায় এ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে যান এস এস ভদ্র। ‘জরাজীর্ণ ডাকঘর মেরামত’ প্রকল্পের আওতায় মতিঝিলে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণের কাজ কুশলী নির্মাতাই পেতে যাচ্ছে- মর্মে তথ্য রয়েছে। লোক দেখানো টেন্ডার হলেও ‘কুশলী নির্মাতা’র বার বার কার্যাদেশ লাভের নেপথ্য কৌঁসুলি নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুর রাজী। বিনিময়ে বাগিয়েছেন অন্তত ৪০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে জানতে বুধবার দুপুরে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
শত শত কোটি কিংবা লাখ টাকা-কোনো অংকের অর্থই হাতছাড়া করেনি এস এস ভদ্র । ভদ্রের দুর্নীতির বিষয়ে ইনকিলাবে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পরও গত ‘জুন ক্লোজিং’র আরএফকিউ’র ফরম্যাটে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ভুয়া বিল ভাউচারে। এ টাকা ভাগাভাগি হয় ভদ্র-শামীমুর রাজী, শংকর এবং ইলেকট্রিশিয়ান চান মিয়ার মধ্যে।
ডাক অধিদফতরে ‘পরিদর্শক’ পদ না থাকলেও গোপনে এই পদে জসিমউদ্দিনকে নিজের সঙ্গে ‘সংযুক্ত’ করে রাখেন এস এস ভদ্র। জসিম ও সহকারী জাকির হোসেন ভদ্রের ‘করোনাকালীন দুর্নীতি’র সহায়ক। করোনা প্রতিরোধে গত মার্চ মাসে ডাক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পিপিই, স্যানিটাইজার, মাস্ক. গ্লাভস ইত্যাদি কেনা হয় জাকির হোসেনকে দিয়ে। এ ক্ষেত্রে ১০ টাকার সামগ্রী ক্রয় দেখানো হয় ১২০ টাকা পর্যন্ত। দুর্নীতির মাত্রাটা এমন যে, ১শ’ পিস সামগ্রী কিনে বিল তুলে নেয়া হয় ১ হাজার পিস সামগ্রীর। সরকারি চাকরি করেও তিনি নিজ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসার সুযোগ পান। পোস্ট-ই প্রকল্পের লাখ লাখ টাকার ব্যানার-ফেস্টুনসহ সব প্রচার সামগ্রী সরবরাহ করেন সহকারী জাকির হোসেন।
ডাক সূত্র জানায়, বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এস এস ভদ্র ডাক অধিদফতরের জন্য শত শত কম্পিউটার, সার্ভার, কম্পিউটার এক্সেসরিজ, প্রিন্টার, টোনার কেনেন। সরকারি ক্রয় বিধি পরিহার করে তিনি এসব কেনেন তারই বন্ধু মাহমুদ আলমের মাধ্যমে। তিনি উক্ত মাহমুদ আলম ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা, লাইভ স্টক ব্যবসাসহ ভদ্রের বেনামী ব্যবসাও পরিচালনা করেন মর্মে জানা গেছে। তাকে কাজে লাগানো হয় অর্থপাচার এবং কালো টাকা সাদাকরণেও। বিপরীতে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হন মাহমুদ আলমও। থার্ড ওয়েব টেকনোলজিস লি:, আইটিসিএলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লিয়াজোঁগুলো মাহমুদ আলমই করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে মাহমুদ আলম ইনকিলাবকে বলেন, আমি বনানী ক্লাবের ফাউন্ডার মেম্বার। ডাক বিভাগের সঙ্গে আমি কখনও কোনো ব্যবসা করিনি। এস এস ভদ্রের সঙ্গে আমার কোনো বিজনেসও নেই। আপনারা ভালোভাবে যাচাই করে দেখুন। আমি কোরিয়ার সার্ভিস কোম্পানির লাইসেন্স হোল্ডার। এই সুবাদে এস এস ভদ্রের সঙ্গে আমার পরিচয়। ব্যস, এতটুকুই।
এস এস ভদ্রের সহযোগীদের দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না- জানতে চাওয়া হলে দুদক সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, তাদের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত পেলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্নীতির বিষয়ে আমরা ‘শূন্য-সহিষ্ণুতা নীতি’ অবলম্বন করছি।