চাওয়া হয়েছিল অর্থপাচারকারীদের সুনির্দিষ্ট তালিকা, কিন্তু দেওয়া হয় আগের তথ্য। তাতে অসন্তুষ্ট উচ্চ আদালত। নির্দেশ দিয়েছেন পুরনো কাহিনী নয়; দেশের বাইরে অবৈধভাবে কে কোথায় বাড়ি করেছেন, টাকা পাচার করেছেন, তা দুই মাসের মধ্যে জানাতে হবে। এ সময় আক্ষেপ করে আদালত প্রশ্ন রাখেন, বিচার না হোক, পাচারকারীদের নামও কি জানা যাবে না?
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নামে প্রতিবছর দেশ থেকে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। পাচারের টাকায় কানাডার বেগমপাড়া, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুরে করেছেন বাড়ি, গড়েছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমন তথ্যও উঠে আসে গণমাধ্যমে। এক মাস আগে এসব পাচারকারীর তালিকা চায় উচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদক, এনবিআর, সিআইডি, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও আর্থিক গোয়েন্দ বিএফআইইউ রিপোর্ট দেয় আদালত।
দুদক রিপোর্টে বলা হয়, পাচারের সঙ্গে জড়িত এখন পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তির নাম পেয়েছেন তারা। টাকার পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর সিআইডি জানায়, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং এনামুল হক আরমান ২৩২ কোটি টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছে।
আদালত বলেছেন, পুরানো কাহিনি নয়, কে কোন দেশে অবৈধভাবে টাকাপাচার করেছেন, বাড়ি করেছেন সে বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে দুই মাসের মধ্যে।
এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, পাচারকারীদের তথ্যসংগ্রহ করছেন তারা। আর বিএফআইইউ জানিয়েছে, কানাডার কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি কানাডার বেগমপাড়ায় চারজন রাজনীতিবিদসহ ২৮ জন সরকারি কর্মকর্তার বাড়ি থাকার কথা খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানানোর পরই আলোচনায় আসে অর্থপাচারের বিষয়টি।