সুপ্রিম কোর্ট জুনেই প্রাণদণ্ড বহাল রেখেছিল তাঁর। ইরান সরকার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল ‘পৃথিবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি’-র। শনিবার কাকভোরে প্রতিবাদী সাংবাদিক রুহোল্লা জ়ামকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা।
তিন বছর আগে ইরানের বর্তমান শাসকদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান মানুষ। কট্টর ধর্মান্ধতা এবং দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন শক্ত হাতে মোকাবিলা করে শাসকেরা। রোষে পড়েন ফ্রান্সে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে যাওয়া সাংবাদিক রুহোল্লা। জ়াম টিভি নামে তাঁর চ্যানেলে সরকার-বিরোধী প্রচার ছাড়া জনরোষে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ এনেছিল সরকার। আমাদনিউজ় নামে রুহোল্লার টেলিগ্রাম চ্যানেলটির অনুগামীর সংখ্যাও ১০ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছিল। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে ইরানি গুপ্তচরেরা ইরাক থেকে তুলে নিয়ে আসে রুহোল্লা-কে। ধর্মীয় আইনে তাঁর বিচার হয়। ইরানে ‘পৃথিবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি’-র অভিযোগ আনা হয় সরকার পরিবর্তন বা অভ্যুত্থানের নেতাদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ আনা হয়েছিল শাসকদের বিরুদ্ধে সতত সরব সাংবাদিক রুহোল্লার বিরুদ্ধেও। নিম্ন আদালত দ্রুত বিচার করে তাঁর ফাঁসির আদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টও জুনে তা বহাল রাখে। ফরাসি সরকার এই সাংবাদিকের প্রাণদণ্ডের বিরোধিতা করে জ়ামকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেছিল তেহরানের কাছে। ফরাসি বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘ইরানে মত ও সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার উপরে আঘাত এই দণ্ড। আমরা আশা করব, ইরান সরকার মানবাধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলবে।’ কিন্তু কোনও কথা কানে না-তুলে শনিবার রুহোল্লাকে ফাঁসিই দিল ইরান সরকার।