ম্যারাডোনার সম্পদ নিয়ে তার স্ত্রী ও বান্ধবীদের মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয় এর আগে ম্যারাডোনার সবশেষ বান্ধবী রোসিও অলিভাকে শেষকৃত্যে ঢুকতে দেননি তার সাবেক স্ত্রী ক্লাদিয়া ভিয়াফান। গণমাধ্যমে এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অলিভা।
ইতোমধ্যে ক্লাদিয়া কোনোভাবেই আর ম্যারাডোনার সম্পদের উত্তরাধিকার নন বলে মন্তব্য করেছেন আর্জেন্টিনার এক আইনজীবী। তার মতে, আদালতে ম্যারাডোনার বৈধ ৫ সন্তানই শেষ পর্যন্ত সম্পদের বড় অংশের উত্তরাধিকার পাবে।
ম্যারাডোনার পরিবারের একজন হিসেবে তাকে শেষবিদায় জানাতে পারেননি রোসিও অলিভা। ম্যারাডোনার জীবনে আসা অগণিত নারীর সর্বশেষ জন এই অলিভা। শেষকৃত্যে অলিভাকে ঢুকতে দেননি ম্যারাডোনার সাবেক স্ত্রী ক্লাদিয়া ভিয়াফান।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রোসিও অলিভা বলেন, ভিয়াফান সেখানে আমাকে ঢুকতে দেয়নি। জানি না সে কেন আমার সঙ্গে কেন এমন করলো? শুধু শেষবিদায় জানাতে চেয়েছিলাম। আমি ছিলাম দিয়েগোর শেষ সঙ্গী। বাকিদের তার ওপর যতটা অধিকার, আমারও তাই। সৃষ্টিকর্তা সব দেখছেন। একদিন এর মূল্য দিতে হবে।
মূল্যের হিসাব-নিকাশ ইতোমধ্যে করতে শুরু করেছে তার উত্তরাধিকারীরা। ম্যারাডোনার রেখে যাওয়া স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ নিয়ে সাবেক স্ত্রী, বান্ধবী ও সন্তানদের দ্বন্দ্ব যুদ্ধে রূপ নেওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ বাড়ি, গাড়ি ও স্পন্সর চুক্তি মিলিয়ে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ রেখে গেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি।
তবে লড়াইটা যে মূলত বৈধ ৫ সন্তানের সেটিও স্পষ্ট করেছেন আইনজীবী মার্টিন অ্যাপোলো। কারণ, প্রথমত ক্লাদিয়া ভিয়াফান আর তার বৈধ স্ত্রী ছিলেন না, পরবর্তীতে আর কোনও বৈধ স্ত্রীও ছিল না ম্যারাডোনার।
বুয়েন্স এইরেস’র আইনজীবী মার্টিন এপোলো বলেন, ক্লাদিয়া যা করছেন তা অনুচিত। তিনি অনেক আগেই তার অধিকার হারিয়েছেন। কারণ, ম্যারাডোনা তাকে তালাক দিয়েছেন। ম্যারাডোনা আর কোনও বিয়েও করেননি। সুতরাং তার বৈধ ৫ সন্তানই হবে সম্পদের বড় দাবিদার। কারণ, তারাই ম্যারাডোনার পরিচয় বহন করছে।
বিডি প্রতিদিন