বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ২৯শে নভেম্বরের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। ঢাকায় বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল। সে মতেই হোস্ট কান্ট্রি বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু শেষ সময়ে এসে ভারতীয় প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশগ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করায় তা স্থগিত হয়ে গেছে। গত বুধবার দিল্লির পাঠানো অপারগতাপত্র ঢাকার হস্তগত হয়েছে। ওই পত্রে ‘অনিবার্য কারণে’ বৈঠকটি স্থগিতের অনুরোধ করা হলেও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি। বৈঠক সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এখন পর্যন্ত এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খোলেননি। তবে অনানুষ্ঠানিক সূত্রগুলো দাবি করেছেÑ আগামী মাসের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হবে।
সর্বোচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকের প্রস্তুতিতে ঢাকা-দিল্লি উভয় পক্ষের ব্যস্ততা রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে দিল্লির প্রতিনিধিরা হয়তো এই মুহূর্তে ঢাকা সফর করতে চাইছেন না। তাদের তরফে বৈঠকে অংশগ্রহণে অনীহা দেখানোর পর আয়োজক ঢাকা বৈঠকটি স্থগিত করেছে। তবে ভিন্ন বক্তব্যও আছে। সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, ৩ মাস ধরে দুই প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ভার্চ্যুয়াল সামিটের প্রস্তুতি চলছে। ওই প্রস্তুতির সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক স্থগিতের সম্পর্ক খুবই কম। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বাংলাদেশ ও ভারতে রোগটির প্রকোপ বাড়ছে। সেই বিষয়টি হয়তো ভারতীয় প্রতিনিধি দল শেষ সময়ে এসে বিবেচনায় নিয়েছে। আর এ জন্য তারা ফিজিক্যাল সফরে আসতে চাইছেন না। তাছাড়া দিল্লি বৈঠকটি স্থগিত করতে চেয়েছে, পুরোপুরি বাতিল নয়। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে ডিসেম্বরের শুরুতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের দিল্লি সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ তার করোনা ধরা পড়ায় আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে ঢাকার তরফে তার পূর্ব নির্ধারিত দিল্লি সফর বাতিল করা হয়েছে। ওই সফর বাতিল সংক্রান্ত পত্র পাঠানোর বিষয়টি রাতে মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা ।