যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসাবে সাজা খাটছিলেন মেজর জলিল। অসুস্থ ছিলেন বিধায় তৎকালীন জিয়া সরকার তাকে জেলে না রেখে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে রেখেছিলেন। একই সময়ে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার মির্জা গোলাম হাফিজ।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মির্জা গোলাম হাফিজকে দেখে মেজর জলিলের প্রিজন সেলে যান। তখন সাঁঝ বেলা, সান্ধ্য বাতি না জ্বালিয়ে বিছানার উপর বসে ছিলেন মেজর জলিল। জিয়াউর রহমান ঘরে ঢুকেই জিজ্ঞেস করলেন, ঘর অন্ধকার কেন? জবাবে মেজর জলিল বলেন, সারাজীবন অন্ধকার ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেছেন তাই ঘর অন্ধকার করেই আছি। জিয়াউর রহমান তখন হেসে বললেন, এখনও পরির্বতন হলে না। এতো কিছু হয়ে গেল এখনো আগের মতন তেজ রয়ে গেছে। জিয়াউর রহমান নিজে হাতে বাতি জ্বালিয়ে সেই সন্ধ্যায় ঘন্টাখানেক গল্প করেন মেজর জলিলের সাথে।
এরপর কিছুদিন পর মেজর জলিলের সাজা মাফ হয়ে যায়, ছাড়া পান তিনি।
মেজর জলিল _ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দী ও রাষ্ট্রীয় ‘খেতাবহীন’ সেক্টর কমান্ডার। কত মানুষ যুদ্ধ না করেও খেতাব পেয়েছেন। অথচ একজন সেক্টর কমান্ডার হয়েও মুক্তিযুদ্ধের খেতাব পাননি। তার অপরাধ ছিল তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর তখনকার লুটপাট এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই অপরাধে তৎকালীন শেখ মুজিবুর রহমান সরকার তাকে খেতাব দান থেকে বিরত থাকে উপরন্তু বন্দী করেন।
আজ মেজর জলিলের ৩১ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৯ সালের এই দিনে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মারা যান। মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি অমিত এই বিক্রমকে।
Facebook:Manahil Dipa