কানাডায় বহুল আলোচিত বেগম পাড়ায় ১৭ আমলার বাড়ীর সন্ধান পেয়েছে সরকার। এদের মধ্যে ১৩ জনই সাবেক আমলা। ৪ জন বর্তমানে উচ্চ পদে রয়েছেন। বিদেশে সম্পদ পাচারকারীদের তালিকা তৈরী করেছে সরকার। গত ১৮ নভেম্বর পররাষ্ট্রনমন্ত্রী ড: এ কে আব্দুল মোমেন ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে’ এসম্পর্কে মুখ খোলেন। ঐ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ‘ গোপনে কানাডার টরেন্টোতে অবস্থিত বাংলাদেশীদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হয়েছে। আমার ধারনা ছিলো রাজনীতিবীদদের সংখ্যাই বেশী হবে। কিন্তু যে তথ্য পেয়েছি তাতে অবাক হয়েছি। সংখ্যার দিকে থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়িঘর সেখানে বেশী আছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে দেখা যায়, সরকার বিদেশে যারা সম্পদ বানিয়েছেন এবং অর্থ নিয়ে গেছেন তারা একটি তালিকা তৈরীর করছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই তালিকা চুড়ান্ত নয়। এরকম একটি চুড়ান্ত তালিকা আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ চুড়ান্ত হবে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইতিমধ্যে কানাডার কাদের বাড়ী ঘর এবং সম্পদ আছে তার একটি খসড়া তালিকা সরকারের কাছে এসেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে, এই তালিকা তৈরী করা হয়েছে। এই খসড়া তালিকায় দেখা যায়, সাবেক ১৩ সচিবের কানাডায় বেগম পাড়ায় বাড়ী আছে। এদের মধ্যে একজন ঢাকার জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন। সচিব হিসেবে দাযিত্ব পালনকালেই তিনি একটি ক্লাবের নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছিলেন।
অন্য একজন মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সচিব থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পান এক সচিব। পরবর্তীতে দেখা যায় তিনি জিয়ার উপর কবিতা লিখেছেন। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে, হঠাৎ ক্ষমতাবান হয়ে যাওয়া এক ব্যরিস্টার সচিবের কানাডায় দুটি বাড়ী করেছেন। বেগম জিয়ার বিশ্বস্ত একজন সচিবের বাড়ীও রয়েছে কানাডায়। তিনি এখন অষ্ট্রেলিয়ায় থাকেন। এরশাদের আমলে দুর্দান্ত ক্ষমতাবান তিন সচিব এখন সপরিবারে কানাডায় থাকেন। বর্তমানে একজন যুগ্ম সচিব, দুজন অতিরিক্ত সচিবের বাড়ীও আছে কানাডায়। সদ্য অবসরে যাওয়া একজন গুরুত্বপূর্ণ সচিব অবসর নিয়েই কানাডায় চলে গেছেন। সেখানে তার বাড়ী রয়েছে।