আসুন বিশ্বের দুই বোকা প্রেসিডেন্টের গল্প শোনাই।
প্রথম জন আলাসানে ওয়াতারা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট।
• আলাসানে ওয়াতারা একবার নিয়ত করলেন তিনি পবিত্র হজ্জ পালন করবেন।
• রাষ্ট্র বলল, প্রেসিডেন্ট হজ্জে যাবেন খরচপাতি সব রাষ্ট্র দিবে।
• প্রেসিডেন্ট বেঁকে বসলেন বললেন, রাষ্ট্রীয় খরচে তিনি হজ্জে যাবেন না।
• সৌদি অ্যারাবিয়া বললো, তুমি আমাদের অতিথি, আমাদের আতিথ্য গ্রহণ কর।
• প্রেসিডেন্ট ওয়াতারা তাতেও সম্মত হলেন না। বললেন, সম্পুর্ণ নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে একেবারে সাধারন মানুষের মত সাধারণ মানুষের সাথে থেকে আমি হজ্জ পালন করব এবং তাই করলেন।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পবিত্র নগরী মক্কার রাজপথে, খানেকা’বার সম্মুখে মহামান্য প্রেসিডেন্ট সাধারণ হাজিদের সাথে শুয়ে আছেন।
দ্বিতীয় জন দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদ।
• বেশ কয়েক বছর আগের কথা, মাহাথিরের হার্টে ব্লক ধরা পড়ে, ডাক্তাররা বলল, এনজিও গ্রাম করে হার্টে রিং পরাতে হবে।
• মাহাথির বললেন, পরাও।
• ডাক্তার বললেন, হার্টে রিং পরানোর জন্যে বিদেশ যেতে হবে (কারন তখন হার্টে রিং পরানোর মত হাসপাতাল মালয়েশিয়ায় ছিলনা)।
• বেঁকে বসলেন মাহাথির, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন না। বললেন, আমি না হয় চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলাম কিন্তু দেশবাসী? ওদের কি হবে? দেশে হাসপাতাল বানাও।
• ডাক্তারের জবাব সময় লাগবে। মাহাথিরের স্পষ্ট উচ্চারণ, বানাও হাসপাতাল, মৃত্যুর ঝুঁকি নিতে আমি প্রস্তুত।
তারপর হাসপাতাল বানিয়ে যন্ত্রপাতি আনতে সময় লেগে যায় প্রায় দু’বছর। মাহাথিরের হৃদয়ে সফল ভাবে রিং পরানো হয়। দু’বছর মরণের ঝুঁকি নিয়ে অপেক্ষা করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদ।
ভেবে দেখুন, এরা কত বোকা? কোথায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিশাল বাহিনী নিয়ে রাজকীয় অতিথি হয়ে জমজমাট হজ্জ করবে, ঘন ঘন চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবে, তা না দীনহীন ফকিরের বেসে হজ্জ পালন আর হাসপাতাল বানানোর জন্যে দু বছর অপেক্ষা? বোকা না হলে এরকম করে? আমাদের দেশের নেতা নেত্রীদের থেকে এদের কিছু শিখা উচিৎ।