গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের নজরদারি বেলুন শনাক্ত হওয়ার পর চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়ে। এখন ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করলেও বেইজিং তাতে সাড়া দিচ্ছে না। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম পলিটিকো তাদের এক প্রতিবেদনে এমনটি বলেছে।
বেলুনকাণ্ডের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন চীন সফরের পরিকল্পনা স্থগিত করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এখন সে সফরের সময়সূচি পুনরায় নির্ধারণ করতে চাইলেও বেইজিং তাতে রা করছে না। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়ও অ্যান্টনি ব্লিনকেনের আগ্রহকে চীনের দিক থেকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
এমনকি ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে টেলিফোনালাপের ব্যবস্থাও করতে চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু চীনের দিক থেকে সাড়া মিলছে না। মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক এক কর্মকর্তার বক্তব্য নিয়ে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পলিটিকো।
এদিকে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র সফররত তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন এবং রিপাবলিকান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ক্যালিফোর্নিয়ায় বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
উভয় পক্ষের মধ্যেকার সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে যে প্র্রক্রিয়া তাতে বেইজিংয়ের নেতিবাচক ইঙ্গিত বলে দিচ্ছে, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্ক গত কয়েক মাসে কতটা শীতল হয়ে পড়েছে। দৃশ্যত মনে হচ্ছে, এ সম্পর্ক ঠিকঠাক করার ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন যতটা আগ্রহী, বেইজিং ঠিক ততটাই অনাগ্রহী।
তাইওয়ানে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি নিয়ে চীনের ব্যাপক আপত্তি রয়েছে। তবুও যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে তাইওয়ানকে অস্ত্র দিচ্ছে এবং সার্বিক সহযোগিতা-পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাস দিয়ে আসছে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কূটনীতিক বৈঠক বাতিলের নাটকীয়তা আগেও দেখা গেছে। তবে এ যাত্রায় রাশিয়া ও চীনের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ নানা কারণেই চীনের ওয়াশিংটনবিমুখতার মাত্রাটা বেশি মনে হচ্ছে।