দেশে লুটপাটের রাজনীতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।
তিনি বলেন, যে যত লুটপাট করতে পারবে, সে তত সম্মানিত। যে যত বড় লুটেরা সে ততো দেশপ্রেমিক হিসেবে গলায় মালা নিয়ে ঘুরবে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয়ে জাতীয় কৃষক পার্টির সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সরকার গরিব ও দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। দেশের সম্পদ লুট করে যারা হাজার কোটি টাকার মালিক, তাদের পাশে দাঁড়ায় সরকার। দুঃখের বিষয় হচ্ছে যারা দেশের জন্য ভালো কাজ করতে চাচ্ছেন, তারা যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে যারা হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়, তাদের ঋণ সরকার মাফ করে দেয় কিন্তু কৃষকের ১০ হাজার টাকা ঋণ মওকুফ হয় না। ব্যাংক লুটেরাদের জন্য কোন শাস্তির ব্যবস্থা হয় না, রিশিডিলিউয়িংয়ের মাধ্যমে তাদের উপরের দিকে তোলা হয়। ব্যাংক লুটেরাদের এমপি, মন্ত্রী বানানো হয়। আবার ১০ হাজার টাকা ঋণের জন্য কৃষক ঘরে ঘুমাতে পারে না। সামান্য টাকার জন্য পুলিশ কৃষকদের হয়রানি করছে। কৃষকদের বাঁচাতে যতটা ভর্তুকি লাগে তা সরকারকে দিতে হবে।
জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারো দয়া-দাক্ষিণ্যে নয়, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই।
এসময় তিনি বলেন, জনগণই দেশের মালিক তাই নির্বাচনের মাধ্যমে তারাই ঠিক করবে কারা এবং কিভাবে দেশ চালাবে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কৃষিতে নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। ৭৪ সালে সাত কোটি মানুষের দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে আর এখন ১৮ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য সংকট হচ্ছে না।
তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু উপজেলা পরিষদ সৃষ্টির মাধ্যমে ১৮ জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছিলেন। তারা কৃষি ও পশুপালন থেকে শুরু করে দেশের গ্রামীণ মানুষের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন।
দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাট আর দলবাজির কারণে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি সাহিদুর রহমান টেপা। সঞ্চালনা করেন কৃষক পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার।