শিক্ষাক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কন্টেট ক্রিয়েটর চ্যাটজিপিটি ‘উপকারী হতে পারে না’ বলে মন্তব্য করেছেন ভাষাবিদ ও মার্কিন বুদ্ধিজীবী নোয়াম চমস্কি। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক পোর্টাল ওপেন কালচার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল এডুকিচেনের উপস্থাপক নোয়াম চমস্কির কাছে শিক্ষাক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে জানতে চান। তিনি বলেন, যদি চ্যাটজিপিটি মুহূর্তের মধ্যে যেকোনো বিষয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার মতো রচনা তৈরি করতে পারে তাহলে অ্যাকাডেমিক রচনার ভবিষ্যৎ কী?
চমস্কি বলেন, ‘অনেকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা চুরি করছে কিনা তা পরীক্ষা করার প্রোগ্রাম ছিল অধ্যাপকদের কাছে। বর্তমানে এটি আরো কঠিন হয়ে পড়বে, কারণ চুরি করা আরো সহজ হয়ে গেছে। এটাই শিক্ষাক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির একমাত্র অবদান’। তিনি চ্যাটজিপিটির ব্যবহার ‘অত্যাধুনিক চৌর্যবৃত্তি’ এবং ‘না শিখতে চাওয়ার পথ’ হিসেবে দেখছেন।
এছাড়াও ক্লাসরুমে আইফোন নিষিদ্ধ করার কথা বলেন চমস্কি। তিনি জানান, এই প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষাব্যবস্থা পতনের একটি চিহ্ন।
চ্যাটজিপিটি প্রশ্ন করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মতো উত্তর দিতে পারে চ্যাটজিপিটি, যা গুগলও করতে পারে না। এর পুরো নাম ‘জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার’। ২০২২ সালের নভেম্বরে বিশ্বের প্রথম সারির মার্কিন গবেষণা ল্যাবরেটরি ওপেন এআই এই চ্যাটবট বাজারে আনে।