বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের ফেসবুক লাইভে নাম না বলায় সাংবাদিককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকি বন্দরে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রাশেদ হাওলাদার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি। আহত ওই সাংবাদিকের নাম মোল্লা ফারুক হাসান। তিনি স্থানীয়ভাবে একটি নিউজ পোর্টাল চালান। এছাড়া গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
আহত মোল্লা ফারুক জানান, গৌরনদী কলেজ মাঠে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের ফেসবুক লাইভে তিনি প্রশাসন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নাম বলেছেন। কিন্তু পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ হাওলাদারের নাম বলেননি কেন এই প্রশ্ন তুলে শনিবার বিকেলে দুই দফায় হামলা চালিয়ে তার পা ভেঙে দিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, রাশেদ ও তার কর্মী শাওনের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। তবে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ হাওলাদার জানান, এমন কোনো ঘটনা সর্ম্পকে তিনি জানেন না। তাছাড়া হামলার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
ওদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু জানিয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত রাশেদ হালাদারকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গৌরনদী থানা পুলিশের ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগে লেখার কিছু ত্রুটি ছিল তা সংশোধন করে আনতে পাঠানো হয়েছে। সংশোধন করে দাখিল করলেই এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হবে।