কানাডায় শিশু জন্মের হার কমে যাচ্ছে। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত পাঁচ বছরে দেশটির জনসংখ্যা ১৭ লাখ বেড়েছে। মূলত অভিবাসীদের কারণেই এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই প্রবণতা।

উন্নত সাতটি দেশের (জি-৭) মধ্যে কানাডাতেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। ১৭ লাখের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই অভিবাসী। তাঁরাই কানাডার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কানাডার সরকারি পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত দেশটির মোট জনসংখ্যা ৩ কোটি ৫১ লাখের কিছু বেশি। উন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এমনিতেই কম। সামাজিক এবং পারিবারিক ধারণার ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে পশ্চিমা লোকজন অধিক সন্তানের চিন্তা থেকে সরে এসেছে অনেক আগেই। কানাডায় গত পাঁচ বছরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অভিবাসনের প্রতি দেশটির উদার অবস্থানের কারণেই সম্ভব হয়েছে। পাঁচ বছরে বেড়ে ওঠা জনসংখ্যার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ এসেছে দেশের মানুষের জন্ম এবং মৃত্যুর তারতম্য থেকে।
কনফারেন্স বোর্ড অব কানাডার দেওয়া তথ্যমতে, দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বুড়িয়ে যাওয়া জনগোষ্ঠীর বদলে কর্মক্ষম জনপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত কানাডায় বছরে চার লাখের বেশি অভিবাসী গ্রহণ করলে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মপ্রবাহ ঠিক রাখা সম্ভব বলে সরকারি তথ্যেই বলা হয়েছে। অভিবাসনের প্রতি উদারতার ফলে বাইরের দেশ থেকে কর্মক্ষম, দক্ষ জনগোষ্ঠী সরাসরি এসে কানাডার শ্রমশক্তিতে যোগ দিচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে কানাডা একটি অভিবাসীপ্রধান দেশ হিসেবে পরিণত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কানাডার অভিবাসনবিষয়ক আইনজীবী ডেভিড কহেন বলেছেন, সব তথ্যেই দেখা যাচ্ছে দেশ হিসেবে কানাডার ভবিষ্যৎ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করছে অভিবাসনের ওপর।