দীন ইসলাম: মসলার নাম ‘লবঙ্গ’। যার গন্ধ অতুলনীয়। খাবারকে সুস্বাদু করতে মসলাটি ব্যবহার করা হয়। তবে মসলা নয়, ডেনফোর্থ রোডে কয়েক মাস আগে উদ্বোধন হওয়া ‘লবঙ্গ’ রেস্টুরেন্টটি বাজিমাৎ করেছে। খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও রেস্টুরেন্টের পরিবেশ এক কথায় অসাধারণ। বাঙ্গালি কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের খাবারের জন্য একমাত্র আস্থার জায়গা। রেস্টুরেন্টটিতে গিয়ে জানা যায়, গ্রীষ্মকালে রেস্টুরেন্টটি খোলা ও বন্ধ করার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পযন্ত সপ্তাহের চার দিন রেস্টুরেন্টটি দুপুর একটায় খুলে বন্ধ হবে রাত সাড়ে দশটায়। এছাড়া শুক্র, শনি ও রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় খুলবে এবং বন্ধ হবে রাত ১১ টায়। উদ্বোধনের পর মেন্যুভিত্তিক খাবার ছিল লবঙ্গতে। গত ১১ ই জুন থেকে তারা বুফে চালু করেছে। এখন থেকে প্রতি শনি ও রবিবার লাঞ্চে বুফে থাকবে। বুফেতে বাংলাদেশি স্টাইলের ভর্তা, সব্জি, নানা পদের মাছ এবং মাংস থাকছে। লবঙ্গ রেস্টুরেন্টের অন্যতম মালিক মুহিদ ইসলাম ভোরের আলোকে বলেন, বাংলার স্বাদ নিয়ে প্রতি শনি ও রবিবার আমরা বুফের আয়োজন করেছি। থাকছে হরেক রকমের পদ। সবাই আমাদের খাবার উপভোগ করছেন। রেস্টুরেন্টটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়। বট (গরুর ভূড়ি) ও পরোটা তাদের স্পেশাল মেন্যু। পুরনো স্বাদের খাবারণ্ডলো নতুনভাবে ভোজনরসিকদের পাতে তুলে দিচ্ছেন তারা। প্রতি উইকেন্ডে এ বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন তারা। দুপুরে তারা বাংলাদেশি স্টাইলের ভাত, ভর্তা, মাছ, মাংস ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বিরিয়ানি পরিবেশন করে থাকে। তাদের পরিবেশিত মাটন কাচ্চি বিরানীর সাথে বোরহানি ও কাবাবের কথা শুনলে টরেন্টোর ভোজন রসিকদের জিভে জল চলে আসে। বিকেলে তাদের পরিবেশনায় থাকে ফুচকা, স্পেশাল শিক কাবার, চিকেন হরিয়ালি কাবাব, নান রুটি এবং পরোটাসহ নানা খাবার। ডেজার্ট আইটেম বিয়ে বাড়ির ফিরনি এবং গোলাপ জামুন রেস্টুরেন্ট খোলার পর থেকেই পরিবেশন করা হয়। মুহিদ ইসলাম বলেন, মানসম্মত খাবারে আমরা আস্থা অর্জন করেছি। এ আস্থা ধরে রাখতে চাই।