কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে স্ত্রীর কাছে ঘুষের কোটি টাকা পাঠানোর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) বজলুর রশীদকে চাকরি থেকে স্হায়ীভাবে বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের শৃঙ্খলা-০১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বজলুর রশীদ ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ডিআইজি প্রিজন্স পদে কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন সময় এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ৩০টি রশিদে ৯৮ লাখ ৩৫০ টাকা পাঠানো অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ হওয়ায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয় এবং অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী পাঠানো হয়। বজলুর রশীদ এ সংক্রান্ত শুনানিতে যেসব তথ্য দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়। সেই বোর্ডও তদন্ত শেষে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত বলে মতামত দেয়।
এরপর বজলুর রশীদকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এ বছরের ৬ অক্টোবর দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবর তিনি এর জবাব দেন। সেই জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে আগের সিদ্ধান্ত, তথা চাকরি থেকে স্হায়ীভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে গত ১ নভেম্বর এ বিষয়ে পরামর্শ দিতে সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) অনুরোধ করা হয়। পিএসসিও মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করায় তাকে কারা উপমহাপরিদর্শক (সাময়িক বরখাস্ত) পদ থেকে স্হায়ীভাবে বরখাস্তের মাধ্যমে গুরুদণ্ড দেওয়া হলো বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।