বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা, খুন, ধর্ষণ এবং মন্দির, পূজা মন্ডপ, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদে আগামি ২৪ শে অক্টোবর রবিবার বেলা ১১টায় মন্ট্রিয়লে এক বিক্ষোভ-পদযাত্রার কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু কমিউনিটি অব মন্ট্রিয়ল, কুইবেক, কানাডা’র ব্যানারে এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৮ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় লাসালের ৮৪৩১ রেজেইনে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এই কর্মসূচি গ্রহন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এডভোকেট ফনীন্দ্র কুমার ভট্টাচার্য্য।
এতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর মৌলবাদীদের ভয়াবহ ও ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এব্যাপারে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আইন শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার পরও ধর্মীয়, জাতিগত ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর বারবার হামলার ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে উল্লেখ করে সভায় বলা হয়, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এসব হামলা প্রতিরোধে সরকারি দলের লোকজনের নীরব ভূমিকারও তীব্র নিন্দা জানানো হয়।বক্তারা বলেন, পূর্বের ঘটনাগুলোর যদি যথাযথ বিচার হতো, জড়িতদের দৃষ্টান্তপূর্ণ শাস্তি হতো তাহলে উপর্যুপরি এসব ঘটনা ঘটতো না। তারা বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সংখ্যালঘুহীন একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সুপরিকল্পিত পথেই এগিয়ে যাচ্ছে।
আগামি রবিবারের পদযাত্রাকে সফল করে তোলার লক্ষ্যে সভায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। এই কর্মসূচি ছাড়াও অচিরেই কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের সামনে মানববন্ধন, কানাডা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রি এবং অন্যান্য দেশের সরকার প্রধান সহ বিভিন্ন দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদানের প্রস্তাবও গ্রহন করা হয়।
সভা পরিচালনা করেন শ্রী প্রদীপ সরকার দোলন।সভায় অন্যান্যের মধ্যে বৌদ্ধ কমিউনিটির নেতা শ্রী জয়দত্ত বড়ুয়া ও খ্রিস্টান কমিউনিটির নেতা মি. সুনীল গোমেজ উপস্থিত ছিলেন। কর্মদিবস থাকা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে অনুষ্ঠিত এপ্রতিবাদ সভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক অংশ নেন এবং সবাই নিজ নিজ মতামত তোলে ধরেন।