অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জোট তৈরির কথা আগেই ঘোষণা করেছিল আমেরিকা ও ব্রিটেন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই জোটে যোগদানের আশা করছিল ভারত ও জাপান। তবে জো বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হল, ভারত বা জাপানের এই চুক্তিতে থাকার করার কোনও সম্ভাবনা নেই। ব্রিটেন, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ত্রিপাক্ষিক ‘অকাস’ (এইউকেইউএস) জোট তিন দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে।
বুধবার বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, ‘এই চুক্তি ঘোষণার সময়েই স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, তিনটি শক্তি একসঙ্গে ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাজনীতিতে কাজ করবে। এই তিনটি দেশের মধ্যে অন্য কোনও দেশের অন্তর্ভুক্তি সম্ভব নয়।’ প্রাথমিক ভাবে এই প্রশ্ন উঠেছিল ফ্রান্সের যোগদানের বিষয়টি নিয়ে। পরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন এই ত্রিপাক্ষিক জোটে জাপান বা ভারতের ভূমিকা নিয়েও।
এই জোটে ভারত বা জাপান থাকবে না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাংবাদিকরা বলেন, চতুর্দেশীয় অক্ষ (কোয়াড) সম্মেলনের জাপান, ভারত রয়েছে, তা হলে কি সেই দেশগুলোও এই জোটের মধ্যে আসবে। এ নিয়ে কি আলোচনা হবে সেখানে? সেই প্রশ্নের উত্তরেই বুধবার সাকি স্পষ্ট করে দেন, তিন দেশের জোটে আর নতুন কোনও সদস্যের আসার সম্ভাবনা নেই।
এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তির জোরে অস্ট্রেলিয়াও নতুন করে হাতে পেতে চলেছে পরমাণু অস্ত্র বহনকারী ডুবোজাহাজ। যা প্রথম বারের জন্য আসতে চলেছে এই দ্বীপরাষ্ট্রের হাতে। আর এই চুক্তির বিরোধিতা করেছে চীন ও ফ্রান্স। আমেরিকা এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ঘোষণা করার সময় আন্তর্জাতিক মহল দাবি করেছিল, ভারত মহাসাগরে চীনের ‘উত্থান’ আটকাতে চায় আমেরিকা ও ব্রিটেন, সেই কারণেই এই চুক্তি। আমেরিকা বলেছিল, শান্তি ও আন্তর্জাতিক সংহতি বজায় রাখতেই এই চুক্তি।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন কিনতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ‘অকাস’ চুক্তি করে। এতে আগে ফ্রান্সের সঙ্গে করা ৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি বাতিল করে ক্যানবেরা। এতে ক্ষুব্ধ হয় ফ্রান্স। এই চুক্তিকে বিশ্বাসভঙ্গের শামিল বলে মন্তব্য করে তারা। চুক্তির জের ধরে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নেয় দেশটি। চীনও এই চুক্তির সমালোচনা করে বলেছে, এতে এশিয়ার শান্তি বিঘ্নিত হবে।