মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার রাজনীতিতে সাফল্য দেখিয়েছেন বাংলাদেশী আমেরিকান শাহানা হানিফ ও এটর্নি সোমা সাইদ। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারি নির্বাচনে এই দুই প্রার্থী দলীয় মনোয়ন চূড়ান্ত করেছেন। শাহানা হানিফ নির্বাচন করেছেন সিটির ৩৯ ডিষ্ট্রিক্ট থেকে সিটি কাউন্সিল মেম্বার হিসেবে। তিনি সাতজন প্রার্থীর মধ্যে ১০,৪৪৯ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রান্ডেন ওয়েষ্ট ৭,২৩৫ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
অপরদিকে কুইন্স কাউন্টি ডিষ্ট্রিক্ট জজ হিসেবে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন এটর্নি সোমা সাইদ। তিনি ৩৬,৪৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইকেল গোল্ডম্যান পেয়েছেন ৩৫,৫১৫ ভোট।
নিউ ইয়র্ক ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় ডেমেক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার অর্থই হচ্ছে তিনিই বিজয়ী হয়েছেন। যদিও চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। ২ নভেম্বর উভয়কেই মুখোমুখি হতে হবে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থীর।
শাহানা হানিফ ও এটর্নি সোমা সাইদের এ বিজয়ে কমিউনিটিতে আনন্দের বন্যা বইছে। এবারের ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রাইমারিতে ডজেনখানেক প্রার্থী সিটির বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মৌমিতা আহম্মেদ, শাহানা মাসুম, সাবুল উদ্দিন, সাইফুর খান, এন মজুমদার প্রমুখ।
বাংলাদেশী দুই প্রার্থীর বিজয়ী বাংলাদেশী আমেরিকান এডভোকেসি গ্রুপের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কামাল ভূইয়া বলেন, বাংলাদেশী কমিউনিটি এখনো দ্বিধা বিভক্ত। কমিউনিটিতে ঐক্য থাকলে আগামীতে বিপুলসংখ্যক প্রার্থী কমিউনিটি থেকে নির্বাচিত হয়ে আসবেন। ড্রাম বীটের অর্গানাইজার অর্গানাইজিং ডাইরেক্টর কাজী ফৌজিয়া বলেন, বাংলাদেশীদের বিজয়ী হতে হলে প্রার্থীদের অন্য কমিউনিটিতে সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে হতে হবে সচেতন।
উল্লেখ্য, শাহানা হানিফের বাড়ি চট্রগ্রামের পটিয়ায়, এটর্নি সোমা সাইদের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায়।