RTV কর্তৃক আয়োজিত”প্রবাসে পরবাসে” শিরোনামের অনুষ্ঠানে দু’জন বিশিষ্ট প্রবাসী ব্যক্তিত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সুদূর কানাডা প্রবাসী মাহমুদা নাসরিন, ইমিগ্র্যাশন কনসালটেন্ট অব কানাডা এবং যুক্তরাজ্য (UK) থেকে ডা:সাইরা মনির।কানাডা বিশাল একটি দেশ, এখানে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য লোক আসছে। বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, চায়না , মরক্কো , কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, এ সকল দেশ থেকে Studentসহ অন্যান্য যারা এ দেশে আসে,তারা অতি সহজেই কীভাবে আসতে পারে? কিন্তু আমার দেশ, বাংলাদেশ থেকে যখন কেউ আসবে,তখন কেন এত প্রতিবন্ধকতা, কেন এত বিড়ম্বনা পোহাতে হয়?আমি মনে করি এ প্রশ্নটির উত্তরের মধ্যে বাংলাদেশের অগণিত মানুষের প্রত্যাশা নিহিত রয়েছে। উত্তরে ক্যানবাংলা ইমিগ্রেশনের প্রিন্সিপাল কনসালটেন্ট মাহমুদা নাসরিন জানান ভারত, পাকিস্তান, চায়না , মরক্কো , কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, সেনেগাল, এবং ফিলিপাইন এই সাতটি দেশের সঙ্গে কানাডার স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট প্রোগ্রাম চালু আছে। এসব দেশের সঙ্গে সরকারী পর্যায়ে সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এছাড়া ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্ট তাদের ছাত্রদেরকে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্যে লোন দিয়ে থাকে যেটি কানাডিয়ান ইমিগ্র্যাশন খুব ভালো ভাবেই জানে, আর তাই ওদের ভিসার হার বলতে গেলে শতভাগ সফল হয়। শুধু তাই নয় , ইন্ডিয়ানরা আইএলটিএস দিয়ে কানাডিয়ান রুলস এন্ড রেগুলেশন্স মেনে কাজ করে নিজেদের খরচ নিজেরাই চালিয়ে খুবই দ্রুত পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট হতে পারছে। মাহমুদা নাসরিন চমৎকার এবং পরিচ্ছন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরলেন,যার ফলে আমাদের ধারণা অত্যন্ত পরিস্কার হয়ে গেল। “বাংলাদেশীরা অতি সহজ পথটি বেছে নিতে পছন্দ করে। সম্পূর্ণ নিয়ম শৃঙ্খলা অনুসরণ না করে যারাই প্রবেশ করে,তারাই ভোগান্তিতে পড়ে। যেহেতু কানাডা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও কঠোর নিয়ম-কানুন অনুসরিত একটি দেশ, সেহেতু শৃঙ্খলা মেনে যারা এখানে আসবে তারা মহা আনন্দে দিন যাপন করবে। প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, লোকের ভীষণ প্রয়োজন কিন্তু সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে তা সম্পন্ন হতে হবে”। প্রশ্নকর্তা হিসাবে ছিলেন ড: মোঃ আব্দুল আওয়াল। সাবেক ভিসি, বাংলাদেশ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট। বর্ষীয়ানদের জন্য কানাডাতে কীভাবে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে? প্রশ্নকর্তা সেখ জমির হোসেন। সহকারী অধ্যাপক, খুলনা, বাংলাদেশ থেকে-উচ্চ শিক্ষার জন্য কানাডাতে যাওয়ার পদ্ধতিটা জানতে চাইলেন। অন্যদিকে ডা:সায়রা মনির সুন্দর বর্ণনা করলেন কেমন করে UK তে গেলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না। সর্বোপরি কানাডা এবং ইংল্যান্ডে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে যেসব প্রশ্ন জমা ছিল, যে প্রশ্নগুলির উত্তর অজানা ছিল,আজ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট প্রবাসী ব্যক্তিত্বদ্বয় অতি সাবলীল ভাষায় পরামর্শদানে সে অন্ধকার দূর করতে সাহায্য করলেন।