বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, কানাডা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সিলেট জেলা সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সচিব এম এ আহাদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি বাংলাদেশে সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এম এ আহাদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর জহুর আহমেদ চৌধুরীর মেয়ের জামাতা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী ইন্তেকালের পর তার মেয়ে শিরিনের সাথে আহাদের বিয়ের সকল কিছু করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিজ কন্যার বিয়ের মতো সকল আয়োজন করেছিলেন তিনি।
এম এ আহাদ মন্ট্রিয়াল এবং অন্টারিও শহরে বাঙালি কমিউনিটির প্রিয় নাম। আওয়ামী লীগ পরিবারের প্রিয় মানুষ। ১৯৮৮ সালে আহাদের উদ্যোগে প্রথম কানাডা আওয়ামী লীগ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। তার বাসায় মন্ট্রিয়ালের স্থানীয় বাঙালি প্রবাসী, বঙ্গবন্ধু প্রেমিক , মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক কর্মীবৃন্দ নিয়ে- কানাডা কমিটি গঠনের যাত্রা শুরু করেন।
এম এ আহাদের মরদেহ চট্রগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার পিল্লাকান্দীতে পৌছিলে বৃষ্টির মধ্যে প্রচুর মানুষের উপস্থিতিতে রাতেই জানাযা শেষে মা বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হয়।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট জেলা সমিতি অব কুইবেকের সভাপতি এম.এ. হাই এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর। এছাড়াও কানাডা আওয়ামী লীগ, কুইবেক আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্ট্রিয়ল প্রবাসী অনেকেই তাঁর ছবি দিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এ মহান মুক্তিযোদ্ধাকে।