কুয়েতে দণ্ডিত বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম ওরফে কাজী পাপুলের কারাদণ্ড চার বছর থেকে বাড়িয়ে সাত বছর করেছে দেশটির আপিল আদালত।
আজ সোমবার কুয়েতি গণমাধ্যম আল-কাবাসে এই খবর প্রকাশ হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাপুল ছাড়া কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসটেন্ট আন্ডার-সেক্রেটারি মেজর জেনার মাজন আল-জাররাহ ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী সালাহ খোরশিদের কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আজকের রায়ে কুয়েতের সংসদ সদস্য সাদুন হামমাদকে খালাস দিয়েছেন আপিল আদালত।
মারাফি কুয়েতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী পাপুলকে কুয়েতের ফৌজদারি তদন্ত বিভাগ গ্রেফতারের প্রায় আট মাস পর গত ২৮ জানুয়ারি তার চার বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির ফৌজদারি আদালত।
তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থ পাচার এবং কুয়েতের কর্মকর্তাদের কয়েক মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়ে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ এবং তার সংস্থাকে কাজ পাইয়ে দেওয়াসহ শ্রম ও রেসিডেন্স আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
অনৈতিক অর্থ লেনদেন মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুলকে আদালত ১০ লাখ ৯৭ হাজার কুয়েতি দিনার (৫৫ কোটি টাকা) জরিমানাও করেন। পরে, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ তার সদস্যপদ বাতিল করে।