আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় যেকোনো সময় করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। কানাডায় টিকা দেয়ার জন্য পর্যায়ক্রমে বয়স বেঁধে দেয়া হচ্ছে। ফলে ট্রুডো অপেক্ষায় ছিলেন কখন তার বয়সসীমার ঘোষণা আসবে। অবশেষে এ সপ্তাহে তার বয়সসীমার ঘোষণা আসে। তারপরই তিনি টিকা নেন। টিকা নেন বলতে তিনি বললেন আর হয়ে গেল- এমন নয়।তার টিকা নিতেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে হয়েছে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার পরই তিনি একটি ফার্মেসিতে নিজে ও স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে টিকা নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার স্ত্রী সোফি গ্রেগোরি ট্রুডো করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন অটোয়াতে রিক্সাল ফার্মাসিতে। তারা দু’জনেই শুক্রবার অক্সফোর্ড/এস্ট্রাজেনেকার এই টিকা নেন। এরপর ট্রুডোর প্রতিক্রিয়া ছিল- ‘আমি খুবই উদ্বেলিত’। এ খবর দিয়েছে কানাডার অনলাইন গ্লোবাল নিউজ। গত বছর শেষের দিকে কানাডায় জাতীয় পর্যায়ে টিকা দেয়া শুরু হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেছিলেন, তিনি যখনই এর যোগ্য হবেন তখনই যতটা তাড়াতাড়ি টিকা নিয়ে নেবেন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট বয়সসীমার জন্য টিকা নির্ধারণ করে দেয়া হয় পর্যায়ক্রমে। সেই বয়সসীমার মধ্যে যখনই তিনি পড়বেন, তখনই টিকা নেবেন। যাদের বয়স ৪০ বছর বা তারও উপরে তাদেরকে এ সপ্তাহে অন্টারিওতে এস্টাজেনেকার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ট্রুডো জানতে পারেন যে, টিকা নেয়ার বয়সসীমা কমিয়ে দেয়ার ফলে তার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে তার অফিস ব্যস্ত রয়েছে। এরপরই তার টিকা দেয়ার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত হয়। ট্রুডো টিকা নিতে ফার্মেসিতে যান। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটি হাজডু অন্টারিওতে করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন।মানবজমিন