বরিশালে এক ট্রাফিক সার্জেন্টের তোলা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার পর ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে এক ব্যক্তির পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বাঁধা। পেছনে থাকা এক নারী তা থেকে অক্সিজেন নিচ্ছেন। শনিবার (১৭ এপ্রিল) বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌহিদ মোর্শেদ টুটুল ফেসবুকে ছবিটি পোস্ট করেন।
তিনি জানান, দুপুরে তার ডিউটি ছিল বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের জিরো পয়েন্ট এলাকায়। তিনি ৩টার দিকে দেখতে পান মোটরসাইকেলে এক ব্যক্তি নারী আরোহীকে নিয়ে যাচ্ছেন। চালকের পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বাঁধা। সিলিন্ডার থেকে আরোহী অক্সিজেন নিচ্ছেন। এ দৃশ্য দেখার পর মোটরসাইকেল না থামিয়ে যাওয়ার সঙ্কেত দেন। দৃশ্যটি মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। এরপর তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন।
সার্জেন্ট তৌহিদ মোর্শেদ টুটুল বলেন, করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ছবি পোস্ট করা। তার পোস্ট করা ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন অনেকে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার জন্যও মন্তব্য করেছেন। ছবিটি পোস্ট করার পর অনেকে আরোহী দুজনের পরিচয় জানতে চেয়েছেন। রাতে জানতে পারি কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠী শাখার কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। আর পেছনে বসা ছিলেন মা রেহানা পারভিন।
তিনি জানান, নলছিটি বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রেহানা পারভিন। তিনি কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন। শনিবার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় জিয়াউল হাসান তাকে হাসপাতালে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
রেহানা পারভিনের বোনের ছেলে নাঈম হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে খালা রেহানা পারভিন সর্দি-জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হন। গত মঙ্গলবার তার নমুনা পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। হঠাৎ শনিবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, দুপুরে বেড়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার মতো যানবাহন পাওয়া যাচ্ছিল না। কেউ করোনা রোগী শুনে গাড়িতে নিতে রাজি হচ্ছিল না।
এ কারণে উপায় না দেখে মোটরসাইকেলে করে বরিশাল মেডিকেলে নিয়ে যান জিয়াউল। নাঈম জানান, তার খালা বর্তমানে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। এখন তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল বলেও জানান তিনি।উৎসঃ দা ডেইলি ক্যাম্পাস