ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো গত বছর ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলার জন্য নতুন এই বিতর্কিত আইনে ক্যাম্পাসে নামাজ নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফরাসি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে খসড়া প্রস্তাবটি অনুমোদন পায়, সেখান থেকে পাঠানো হয় সিনেটে। ৩০ মার্চ থেকে বিলটির ওপর সিনেটে আলোচনা শুরু হয়। ডেইলি সাবাহ, আনাদুলু
বুধবার সিনেট অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুসলমানদের নামাজের বিষয়টি নিয়ে ভোটাভুটি হয়। ডানপন্থী সদস্যদের ভোটে প্রস্তাবটি পাস হলে ম্যাক্রো উত্থাপিত বিলে ক্যাম্পাসে নামাজ নিষিদ্ধের ধারাটি যুক্ত হয়। তবে বামপন্থী সিনেটররা এবং শিক্ষামন্ত্রী জ্যা মিশেল ব্ল্যানকার এর বিরোধিতা করেন।
প্রস্তাবিত আইনে মুসলিম শিক্ষার্থীদের গৃহশিক্ষার সুযোগেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনের মাধ্যমে ফ্রান্সে অবস্থিত মসজিদ ও মুসলমানদের দাতব্য সংস্থায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে সরকার। এমনকি মুসলমানদের সংস্থা ও সংগঠনের অর্থ সংগ্রহও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
ধর্মীয় বা অন্য কারণে লিঙ্গের ভিত্তিতে রোগীদের ডাক্তার বাছাই করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে আগেই বলেছে, এই আইন অনুমোদন দেওয়া হলে ফ্রান্সের মানবাধিকার ও স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক আঘাত করা হবে।উৎসঃ dainikamadershomoy