কে কী ভাবল, তা নিয়ে চিন্তা না করে মনের কথা বলে ফেলার অভ্যাসটা তাঁর সহজাত। একটি অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে লাইভ ইন্টারভিউয়েও তা-ই বলেছেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। আমাদের সময়.কমের পাঠকদের জন্য উৎপল শুভ্রের কাছে দেয়া সাকিব আল হাসানের ইন্টারভিউটি দেয়া হলো:
মুঠোফোনে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার লিখিত রূপ এই ইন্টারভিউ। যাতে পাওয়া যাবে জরুরি দুটি প্রশ্নের উত্তর: কী বলতে চেয়েছেন? কেন বলেছেন?
উৎপল শুভ্র: আবার তো আগুন জ্বালিয়ে দিলেন। ইন্টারভিউয়ে এ সব কথাবার্তা কি প্ল্যান করেই বলেছেন?
[১] বিএসএমএমইউর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: “মানব শত্রু করোনা ভাইরাস -এই যুদ্ধে বাংলাদেশ হারবে না” অঙ্গীকার ≣ [১] স্ব উদ্যোগে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন ≣ [১] হোসেনপুরে পেশা পাল্টিয়ে চলছে মানুষের বাঁচার চেষ্টা
সাকিব আল হাসান: আমি প্ল্যান করে কিছু বলি না। যা মনে আসে, তা-ই বলি। যা বিশ্বাস করি, তা-ই বলি। কথায় কথায় প্রসঙ্গ এসেছে, যা ঠিক মনে করি, বলে দিয়েছি।
শুভ্র: কিন্তু এর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, এই চিন্তা কি একবারও মাথায় আসেনি? প্লেয়াররা তো বোর্ডের ভয়ে এই জাতীয় কোনো কথাই বলেন না। আপনি যে বললেন!
সাকিব: বললাম তো, আমি যা বিশ্বাস করি, তা-ই বলি। কী প্রতিক্রিয়া হবে, এ নিয়ে ভাবি না। আমি চিন্তা করলে বড় চিন্তা করি। আচ্ছা আপনিই বলেন, আমি যা বলেছি, তাতে কি আমার নিজের কোনো লাভ আছে? নিজের লাভ তো গাধাও বোঝে। আমি ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে কথাগুলো বলেছি। কারও যখন বলার সাহস নাই, আমিই না হয় বললাম। আমার ব্যক্তিগত লাভের জন্য তো বলি নাই। কেউ যদি এটা ভালোভাবে নিতে চায়, তা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে। আমরা যদি ভালো করতে চাই, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি চাই, তাহলে তো আমি আমার কথায় কোনো সমস্যা দেখি না।
শুভ্র: তারপরও একবারও কি মনে হয়নি, এ সব বললে সমস্যা হতে পারে, বিসিবি চাইলে অনেক কিছু করতে পারে?
সাকিব: আমি এটা নিয়ে চিন্তিত না। আমার মনে হয় না, আমি খারাপ কিছু বলেছি। এটা আসলে কে কীভাবে নেয়, তার ওপর। ভালো ভাবে নিলে ভালো, আর কেউ যদি ইস্যু তৈরি করতে চায়, তাহলে ভিন্ন কথা। কেউ যদি আমার ২টা/৩টা প্রবলেমের কথা বলেন, আমি তা নিয়ে চিন্তা করব। ঠিক মনে হলে শোধরানোর চেষ্টা করব। আমার ছুটি নেওয়া নিয়ে কেউ একটার পর একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যেতে পারবেন, আর আমি আমার কথাটা বলতে পারব না?
শুভ্র: কেউ যদি বলে, আপনি বাংলাদেশের হয়ে শ্রীলঙ্কা ট্যুরে না গিয়ে আইপিএল খেলতে যাচ্ছেন বলে যে সমালোচনা হচ্ছে, তা চাপা দিতে এসব বলেছেন?
সাকিব: যাঁরা সমালোচনা করছে, তাঁদের জায়গা থেকে ঠিকই আছে। কিন্তু একটু চিন্তা করলে তাঁরাও বুঝতে পারবে, আমি কেন আইপিএলে খেলতে চাইছি। প্রথমত, শ্রীলঙ্কা ট্যুরটা এই সময়ে ছিল না। তাছাড়া দেখেন, আমরা এখন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের সবার শেষে আছি। শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা। হয়তো আমরা একটা টেস্ট জিতব, একটা হারব। তাতে কী হবে, ৭/৮ নম্বরে উঠতে পারব বলে তো মনে হয় না। আর আইপিএলে আমি যে মাঠগুলোতে খেলব, কয়েক মাস পর সেই মাঠগুলোতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলাও হবে। আমি তো আমার এই অভিজ্ঞতা দলের অন্যদের সঙ্গেও শেয়ার করতে পারব। বাংলাদেশের আর কেউ তো আইপিএলে নাই। আরেকটা জিনিস দেখেন, আমি যে কেকেআরে খেলব, সেই দলের অনেকেই বিশ্বকাপে বিভিন্ন দলে খেলবে। আমি তো ওদের উইকনেসের জায়গাগুলোও জানতে পারব। যা বিশ্বকাপে কাজে লাগবে। ড্রেসিংরুমে তো এসব আলাপ হবেই–আমার এটাতে সমস্যা হচ্ছে, ওটাতে সমস্যা হচ্ছে। আইপিএলের তিন/চার মাস পরই তো ওয়ার্ল্ড কাপ। আমি তো জানব, কিছুদিন আগেই কোন প্লেয়ারের মাইন্ডসেট কেমন ছিল। অন্যদের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারব।
‘আইপিএল খেললে তা টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপে কাজে লাগবে’
শুভ্র: এসব জানতে আপনাকে আইপিএল খেলতে হবে? ওই মাঠগুলোতেও আপনি অনেক খেলেছেন, প্লেয়ারদের স্ট্রেংথ-উইকনেসও আপনার অজানা নয়।
সাকিব: কী বলেন! একটা প্লেয়ারের খেলা প্রতিনিয়ত চেঞ্জ হয়। ইমপ্রুভ যেমন করে, নতুন নতুন সমস্যাও হয়। আপনার লেখার পরিবর্তন আসে নাই? বিশ বছর আগে যেভাবে লিখতেন, এখনো কি সেভাবেই লেখেন? তা লিখলে পাবলিক খাবে? সময়ের সঙ্গে সবকিছুই বদলাতে হয়। দেখেন, ইন্ডিয়া আইপিএল থেকে কত প্লেয়ার বের করেছে। ওরা টেস্টেও ভালো করছে। এই যে ঋষভ পন্ত, ও কোত্থেকে উঠে এসেছে? এ জন্যই আমি বলি, বিপিএলটা ভালো করে করতে। আইপিএল-বিপিএল সবাই দেখে, প্রেশার থাকে। বড় বড় প্লেয়ারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা যায়। এসবে সাহসটা বেড়ে যায়।
শুভ্র: আপনি তো আইপিএল-বিপিএলের গুণগান করতে শুরু করে দিলেন। এসবে প্লেয়ারদের আগ্রহের আসল কারণ তো টাকা, তাই না?
সাকিব: হ্যাঁ, টাকাটাও একটা ফ্যাক্টর। আমার কথাই বলি। বয়স ৩৪ হয়ে গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বড়জোর আর তিন/চার বছর খেলতে পারব। দুই বছরও হতে পারে। কপাল খারাপ থাকলে এক বছর। আর্থিক দিকটা ভাবা কি অন্যায়?
শুভ্র: আমরা আসল প্রসঙ্গ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। আপনি যে আকরাম খান-নাঈমুর রহমানের এমন সমালোচনা করলেন, এর কারণটা কী?
সাকিব: না, না, আমি তো কোনো ব্যক্তি নিয়ে কথা বলি নাই। দুর্জয় ভাই (নাঈমুর) যে এইচপির দায়িত্বে, এটা আমি পরে জেনেছি। সত্যি বলছি, আমি জানতাম না। আমি এইচপির কাজকর্ম নিয়ে কথা বলেছি। ভাসা ভাসা চোখে মনে হবে, ভালোই তো চলছে। একাডেমি বিল্ডিংয়ে প্লেয়াররা থাকছে, প্র্যাকটিস করছে। কিন্তু গত ২/৩ বছরে এইচপি থেকে কয়টা প্লেয়ার উঠে এসেছে? প্রতি বছর তো অন্তত ২/৩ জন প্লেয়ার আসা উচিত। কারণ এইচপি আশি পার্সেন্ট রেডি প্লেয়ার নিয়ে কাজ করে, কাজ বলতে তো বাকি ২০ পার্সেন্ট রেডি করা। ন্যাশনাল টিম থেকে বাদ পড়া প্লেয়ারও তো থাকে। আকরাম ভাইয়ের কথা বলেছি, কারণ উনি বলেছেন, আমি টেস্ট খেলতে চাই না। কিন্তু বোর্ডের সিইওকে দেওয়া চিঠিতে আমি তো টেস্টের কথা কিছু লিখিইনি। আপনি চেক করে দেখতে পারেন। আমি ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থেকে কিছু বলি নাই। আকরাম ভাই ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান। ন্যাশনাল টিম ভালো করলে যেমন উনি কৃতিত্ব পাবেন, খারাপ করলে তেমনি দায়ও নিতে হবে। সবাই শুধু ঢালাওভাবে প্লেয়ারদের দোষ দিয়ে যাবে, এটা তো ঠিক না। বোর্ড-প্লেয়ার সবাই মিলেই তো একটা টিম। সবারই সবকিছু ভাগ করে নিতে হবে। ১০০ কেজি বোঝা ১০ জন ভাগ করে নিলে একজনের জন্য তা ১০ কেজি হয়ে যায়। একজন নিলে ১০০ কেজি। কদিন পর পর যদি বলা হয়, একে বাদ দেব, ও চলে না…এটা তো টিমের জন্যও ক্ষতিকর। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য না। আমি ব্যক্তি নিয়ে কথা বলি নাই, চেয়ার নিয়ে-দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছি।
‘আকরাম ভাই ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান। ন্যাশনাল টিম ভালো করলে যেমন উনি কৃতিত্ব পাবেন, খারাপ করলে তেমনি দায়ও নিতে হবে।’
শুভ্র: চেয়ার নিয়েই না হয় বললেন, কিন্তু আপনি যদি বলেন, ক্রিকেট অপারেশনস ঠিকভাবে কাজ করছে না, তাহলে তো এর দায়িত্বে থাকা লোকটাকে ব্যর্থ বা অযোগ্যই বলা হয়, তাই না?
সাকিব: হু্। হু। হু।
শুভ্র: হু হু হু মানে কী?
সাকিব: একমত হলাম তো। আমি তো বলেছিই, আমি ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থেকে কিছু বলি নাই। প্রফেশনাল পয়েন্ট থেকে বলেছি।
শুভ্র: আপনি কি বলতে চাইছেন, টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২০/২১ বছর পরও বিসিবি ঠিকভাবে চলছে না?
সাকিব: সব চলছে না, তা বলব না। অনেক কিছুই চলছে, ভালো অনেক কিছুও হচ্ছে।
শুভ্র: আপনার ওই ইন্টারভিউয়ে আপনি যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের খুব প্রশংসা করলেন; কেউ যদি বলে, আপনি এটা বলেছেন আসল জায়গাটা ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে। যাতে আপনার শাস্তি-টাস্তি না হয়।
সাকিব: (হাসি) আপনি তো আমাকে চেনেন। আমি কাউকে খুশি করতে কিছু বানিয়ে বলতে পারি না। আমি পাপন ভাই আর সুজন ভাইয়ের প্রশংসা করেছি। সুজন ভাই ডেভেলপমেন্টে ভালো কাজ করছেন। এই যে আন্ডার নাইনটিন টিমটা ওয়ার্ল্ড কাপ জিতল, ওদের দেখাশোনা তো সুজন ভাই-ই করেছেন। আলাদা করে রেখেছেন, অনেকগুলো ট্যুরে পাঠিয়েছেন। ২০টার জায়গায় ৫টা ট্যুর করলে ওরা হয়তো ওয়ার্ল্ড কাপ জিততে পারত না।
পাপন ভাইয়ের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে আমার যে পরিমাণ কথা হয়, তাতে আমি বুঝতে পারি, ওনার ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে। সবারই লিমিটেশন থাকে, তবে ইচ্ছাটাই হলো আসল। আমরা প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে বলি না যে, ইনটেন্টটা ঠিক আছে কি না। পাপন ভাইয়ের ইনটেনশনটা ভালো। উনি এমপি, বেক্সিমকো ফার্মার মতো বড় একটা প্রতিষ্ঠান চালান, তারপরও ক্রিকেটে যে পরিমাণ সময় দেন, এ থেকেই তো ওনার সদিচ্ছাটা বোঝা যায়। ওনার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা থেকে বলতে পারি, উনি ক্রিকেটটাও ভালো বোঝেন। ওনার সঙ্গে আমার টিম নিয়ে অনেক চিন্তাই মিলে যায়।
‘পাপন ভাইয়ের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে আমার যে পরিমাণ কথা হয়, তাতে আমি বুঝতে পারি ওনার ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে।’
শুভ্র: কিন্তু পাপন ভাই যে প্রকাশ্যে টিমে একে নেওয়া উচিত, ওকে বাদ দেওয়া উচিত, টস জিতে ক্যাপ্টেন কেন ফিল্ডিং নিল…এ সব বলেন, এটা কি ঠিক?
সাকিব: এসব আসলে উনি ক্রিকেট খুব ভালো বাসেন বলে বলেন। হারলে খুব কষ্ট পান।
শুভ্র: আপনি খুব চালাক, সব সময়ই দেখেছি, সব বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই আপনার খুব ভালো সম্পর্ক…
সাকিব: বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক তো ভালো থাকারই কথা, তাই না? মেসিকে দেখেন, বার্সার সব প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই তো ওর ভালো সম্পর্ক। শুধু গতবারেরটা ছাড়া। নতুন প্রেসিডেন্ট এসে কী করেছেন, মেসিকে হাতে পায়ে ধরে হলেও বার্সায় রাখতে চেয়েছে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকাটাই তো স্বাভাবিক।
শুভ্র: একটা জিনিস পরিষ্কার করে নিতে চাই, এই টেস্ট খেলতে চাওয়া না-চাওয়ার বিষয়টা। আমার অনেক দিন আগে থেকেই মনে হয়েছে, টেস্ট ক্রিকেট আপনার প্রায়োরিটি লিস্টের সবচেয়ে নিচে। ঠিক বুঝেছি?
সাকিব: আমি তিনটা ফরম্যাটেই খেলতে চাই। আরও কিছুদিন পর হয়তো ডিসিশন নেব, কোনোটা বাদ দেব কি না। এটাও অনেকবারই বলেছি, আমি যদি চান্স পাই, আইপিএলটা অবশ্যই খেলতে চাই। আইপিএলে খেলাটা আমি খুব এনজয় করি। দেশের ক্রিকেটের জন্যও তো এটা ভালো জিনিস। বাংলাদেশের আর কেউ তো খেলে না, আফগানিস্তানেরও যেখানে তিনজন খেলে। আইপিএল এমন একটা টুর্নামেন্ট, ম্যাচে খেলি বা না খেলি, প্রতিবারই আমি পাঁচ পার্সেন্ট হলেও ইমপ্রুভ করি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটই এর বড় প্রমাণ। এ ছাড়া আমি বাংলাদেশের সব ম্যাচেই খেলতে চাই।
‘আমি তিনটা ফরম্যাটেই খেলতে চাই। বাংলাদেশের সব ম্যাচ খেলতে চাই।’
আইপিএলের বাইরে সুযোগ পেলে সিপিএল বা পিএসএলের মধ্যে যে কোনো একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলব, তবে যদি তখন বাংলাদেশের খেলা না থাকে। টেস্ট ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা-অনিচ্ছার কথা আসছে তো শ্রীলঙ্কা ট্যুরের সঙ্গে ক্ল্যাশ হওয়ায়। যে টাইমে এই ট্যুরটা হওয়ার ছিল, তখন হয়ে গেলে আর এসব কথা হতো না।
দেখেন, আইপিএলের টাইমে কোনো দেশই কিন্তু খেলে না। এই শ্রীলঙ্কা ট্যুরটা তো করোনার জন্য এ সময়ে হচ্ছে। এই যে সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নিশপ ফাইনাল, আইপিএলের সঙ্গে এটা ক্ল্যাশ করাতেও কিন্তু কথা হচ্ছে। বাটলার, উইলিয়ামসন, আর্চারের মতো প্লেয়াররাও এটা নিয়ে কথা বলছেন।
শুভ্র: আপনি বিসিবি প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছেন। হতে পারলে ইতিহাসের সেরা প্রেসিডেন্ট হবেন বলেও ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। আপনি প্রেসিডেন্ট হলে সেরা প্রেসিডেন্ট হবেন, এতটা নিশ্চিত হলেন কীভাবে?
সাকিব: এটাকে কনফিডেন্স বলতে পারেন। আমি প্রেসিডেন্ট হলে অন্যদের কাছে আমার যে গ্রহণযোগ্যতা থাকবে, অন্য কেউ প্রেসিডেন্ট হলে কী তা থাকবে? মানুষের স্বপ্ন থাকতে পারে না! শুধু বিসিবির কেন, কেউ তো দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্নও দেখতে পারে। পারে না?
শুভ্র: বিসিবির প্রেসিডেন্ট হলে প্রথম আপনি কোন কাজটা করবেন?
সাকিব: এটা যদি কোনোদিন হই, তখন দেখা যাবে।
শুভ্র: এবার একটা অপ্রিয় প্রশ্ন করি, কেউ কেউ এমনও বলছেন, আপনি একের পর এক বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন, যাতে বিসিবি আপনার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়। আপনি তখন রাগ করে বাংলাদেশের পক্ষে খেলা-টেলা ছেড়ে দিয়ে ইউএসএ-তে স্থায়ী হয়ে যাবেন।
সাকিব: (হাসি) তাই নাকি? এমন কথা হচ্ছে নাকি! কারও মনে যদি এমন চিন্তা এসে থাকে, তবে তা ভুল চিন্তা।
শুভ্র: শেষ প্রশ্ন। আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আপনি যেভাবে মিডিয়াকে নিয়মিত নিউজ জুগিয়ে যাচ্ছেন, আপনি খেলা ছেড়ে দিলে কী হবে?
সাকিব: (হাসি) এ জন্যই বলি, যেভাবেই হোক, আমাকে ক্রিকেটে রাখেন। নইলে আপনাদের লাইফ বোরিং হয়ে যাবে। মিডিয়ার সাকিবকে দরকার।উৎসঃ আমাদের সময়