রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর নতুন চেয়ারম্যান পদে সাঈদ হাসান শিকদার যোগদান করেই ছুটিতে চলে গেছেন। এনিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চলছে নানা আলোচনা। শুরু হয়েছে কানাঘুষা। অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে, সাড়ে ১২শ’ প্লট বরাদ্দের জন্য চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার কারণেই নতুন চেয়ারম্যানকে অনিচ্ছাকৃত ছুটিতে যেতে হয়েছে। এখন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক পছন্দসই অতিরিক্ত সচিবকে রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত ফাইলটি সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলমের বিদায়ের সময় সাড়ে ১২শ’ প্লট বরাদ্দ দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আদিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাটাগরির এসব প্লট বরাদ্দ দেয়ার জন্য তালিকাও প্রস্তুত করা হয়।
কিন্তু উচ্চ আদালতে রাজউকের বিভিন্ন সেক্টরের নকশা নিয়ে মামলা চলমান থাকায় সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলম প্লট বরাদ্দের বিষয়ে বেশিদূর এগুতে সাহস পাননি। এদিকে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাজউকের নতুন চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান পরিকল্পনা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব (শিল্প ও শক্তি বিভাগ) সাঈদ হাসান শিকদার। নতুন চেয়ারম্যান পদে যোগদানের আগে তিনি নতুন পদ নিয়ে কিছুটা সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলেন। কিন্তু এ মাসের প্রথম দিকে যোগদানের পরই রাজউকের সদস্যদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটির কাজকর্ম সম্পর্কে অবগত হন। তখনই সাড়ে ১২শ’ প্লট বরাদ্দের বিষয়টি জানতে পারেন। একই সঙ্গে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প নিয়ে মামলা চলমান থাকার বিষয়টি জানতে পারেন। সাঈদ হাসান শিকদার চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেয়ার কয়েকদিন পর সাড়ে ১২শ’ প্লট বরাদ্দ নিয়ে মন্ত্রণালয় চাপ দেয়। তখনই নতুন চেয়ারম্যান ছুটিতে যেতে বাধ্য হন। রাজউকে বলাবলি হচ্ছে, নতুন চেয়ারম্যান পদে সাঈদ হাসান শিকদার যোগদান করলেও তিনি আর রাজউকে ফিরছেন না। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতনদের আশীর্বাদপুষ্ট এক অতিরিক্ত সচিবকে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনিই চেয়ারম্যান পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পাবেন।উৎসঃ মানবজমিন