মিয়ানমারের রোববার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরও ৩৮ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী হ্লায়াইং থারইয়া এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এমন এক সময় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যখন ক্ষমতাচ্যুত রাজনীতিবিদেরা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি এমন খবর দিয়েছে।
রোববার মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
ইয়াঙ্গুনের হ্লায়াইং থারইয়া এলাকায় আন্দোলনকারীরা লাঠি ও ছুরি হাতে বিক্ষোভ করলে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাতে এই রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে।
এক চীনা ব্যবসায়ীর ওপর হামলা করার পর এলাকাটিতে সামরিক আইন জারি করে জান্তা সরকার। সেনাবাহিনীকে চীন সমর্থন দিচ্ছে বলে বিক্ষোভকারীদের ধারণা।
পহেলা ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী।
তারা বেসামরিক নেতা ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি দলের প্রধান অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও গ্রেফতার করেছে।
গত মাসের অভ্যুত্থানকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা। বিপ্লবের ডাক দিয়ে তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন।
সামরিক বাহিনীর ধরপাকড় প্রতিরোধে বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাদের নেতা মান উইন খায়াং থান।
তিনি বলেন, জাতীয় জীবনে এটা সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্ত। তবে অন্ধকার দূর করে শীঘ্রই ভোরের আলো ফুটে উঠবে।উৎসঃ Jugantor