সুইজারল্যান্ডে নারীদের মুখ ঢেকে রাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে উগ্র ডানপন্থি একটি প্রস্তাব সামান্য ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে। রোববার এই ভোটের আয়োজন করেছিল সেই গ্রুপ, যারা ২০০৯ সালে নতুন মিনার নির্মাণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আয়োজন করেছিল। সর্বশেষ মুখ ঢেকে রাখার ওই প্রস্তাব পাস হয় শতকরা ৫১.২-৪৮.৮ ভাগ ভোটের ব্যবধানে। এর ফলে সেখানকার সংবিধান সংশোধন করতে হবে বলে প্রাদেশিক ফলাফলে বলা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সুইজারল্যান্ডের সরাসরি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে এই পদক্ষেপে সরাসরি ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়নি। মুখে মাস্ক পরে রাস্তায় সহিংস প্রতিবাদ বন্ধের কথা বলা হয়েছে। তবে স্থানীয় রাজনীতিক, মিডিয়া ও প্রচারকর্মীরা একে রোবকা নিষিদ্ধকরণ বলে অভিহিত করেছেন।
সুইস পিলস পার্টির সদস্য ও মুখ ঢেকে রাখা নিয়ে গণভোট কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াল্টার ওবম্যান বলেছেন, সুইজারল্যান্ডে আমাদের রীতি হলো আপনাকে মুখ দেখাতে হবে। এটাই হলো আমাদের মৌলিক স্বাধীনতার প্রতীক। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক ও কট্টর ইসলামের প্রতীক হলো মুখ ঢেকে রাখা। ইউরোপে এই ইসলাম ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে। তবে সুইজারল্যান্ডে এর কোনো স্থান নেই। ওদিকে মুসলিমদের বিভিন্ন গ্রুপ এমন ভোটের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, তারা এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাবে। সুইজারল্যান্ডের সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিমস বলেছে, এই সিদ্ধান্ত পুরনো ক্ষতকে নতুন করে জাগিয়ে তুলবে। আইনগত অসমতার নীতিকে আরো বিস্তৃত করবে এবং এর মধ্য দিয়ে মুসলিম সংখ্যালঘুদের বাইরে রাখার একটি পরিষ্কার বার্তা দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে তারা কথা বলবে এবং কোনো মুসলিম নারীকে জরিমানা করা হলে তাদের সহায়তার জন্য তহবিল গঠন করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১১ সালে পুরো মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্স। জনসম্মুখে পুরো মুখ ঢেকে রাখা অথবা মুখের অংশবিশেষ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ করেছে ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং বুলগেরিয়া।উৎসঃ Mzamin