ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের ১০ মাস পর জামিনে মুক্ত কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কিশোরের কানে, পায়ে ও চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ভাই লেখক আহসান কবির।
বুধবার হাই কোর্ট কিশোরকে ছয় মাসের জন্য জামিন দিলে তার মুক্তির পথ খোলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে তিনি মুক্তি পান।
কারাগার থেকে ভাইকে নিয়ে আসা আহসান সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কিশোরকে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে গেছেন তিনি।
“সোয়া ৬টার দিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কিশোরকে। কিশোরের কানের সমস্যা; বাম পায়ের সমস্যা এবং চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এগুলো আগে ছিল না। তার ডায়েবেটিসও রয়েছে।”
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই কিশোরকে এখন চলতে হবে বলে মন্তব্য করেন আহসান।
“হাসপাতালে আনার আগে আমরা আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। নানা রোগের জটিলতা কাটাতে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালের ভর্তি রয়েছে।”
কিশোরের মুক্তির সময় তার কয়েকজন আত্মীয়-বন্ধু কারাগারের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। কারাফটক থেকে বেরিয়ে আসার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একটি সাদা রঙের গাড়িতে করে কিশোরকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন তারা। এ সময় কারাগারের বাইরে থাকা সাংবাদিকরা কিশোরের দেখা পাননি।
দশ মাস পর কারামুক্ত কার্টুনিস্ট কিশোর
করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে গত বছর ৫ মে কার্টুনিস্ট কিশোর এবং অনলাইনে লেখালেখিতে সক্রিয় ব্যবসায়ী মুশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরদিন ‘সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর’ অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়।
একই মামলায় গ্রেপ্তার দুজনের জামিন হলেও কিশোর ও মুশতাকের জামিন হয়নি। এর মধ্যে মুশতাক গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে মারা যান, যা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে দেশজুড়ে।
কিশোরের সঙ্গে মুশতাকের জন্যও জামিন আবেদন করা হয়েছিল হাই কোর্টে। কিন্তু শুনানির আগেই তার মৃত্যু হয়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম