পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় আল–জাজিরার তথ্যচিত্র নিয়ে মার্কিন রাজনীতিবিদদের কেউ তাঁকে প্রশ্ন করেননি। এমনকি তাঁদের কেউ বিষয়টি আলোচনায় তোলেননি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে বিদেশি কূটনীতিকদের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, আমাদের দেশ একটা তাজ্জবের দেশ। কেউ একজন মারা গেলেই সে কেন মারা গেল, এটা নিয়ে তারা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ফেব্রুয়ারির ২৩ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন সফর করেন। এ সময় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে ফোনালাপের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মার্কিন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে সরাসরি ও ভার্চ্যুয়ালি আলোচনা করেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রচার করে। ওয়াশিংটন সফরের সময় এ তথ্যচিত্রের প্রসঙ্গ কেউ তুলেছিলেন কি না, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলাপ হয়েছে। তবে কেউ আল–জাজিরার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে কোনো কথা তোলেননি। তবে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। বাকি কোনো লোক প্রশ্ন করেনি, আলাপ করেনি। এগুলো হলো বাঙালিদের মাথাব্যথার কারণ। আমরা বলেছি, আল–জাজিরা একটা নাটক লিখেছে। তবে তারা নাটকে এত ভুল তথ্য দিয়েছে যে তা একেবারেই বেমানান।’
কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে পশ্চিমা দেশগুলো বিবৃতি দিয়েছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিদেশি কূটনীতিকদের ভূমিকার সমালোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ একটা তাজ্জবের দেশ। কেউ একজন মারা গেলেই সে কেন মারা গেল, এটা নিয়ে তারা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। দেশের লোক উদ্বেগ জানাক, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বিদেশি লোকগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে, এটা একটা তাজ্জবের জায়গা। আর আপনারা মিডিয়াও এসবের কাভারেজ দেন। বিদেশে কেউ যদি উদ্বেগ প্রকাশ করে, কোনো মিডিয়া এটা প্রচার করে না। এ জন্য কেউ উদ্বেগও দেখায় না।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া এসব এন্টারটেইন করবে না। আমাদের দেশের মিডিয়ার এসব বর্জন করা উচিত। ওই সব লোক এখানে এসে মাতব্বরি করবে কেন। আমাদের তো তাদের পাবলিসিটি দেওয়া বন্ধ করা উচিত।’উৎসঃ প্রথমআলো