মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মিজানুর রহমানের স্ত্রী সালিমা রহমান ও পুত্রবধূ মিথিয়া স্থানীয় নুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে তাদের ভোট ‘জোর করে’ নৌকা প্রতীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগে বলা হয়।
আজ শনিবার দুপুরে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মিজানুর রহমান নির্বাচন বর্জনের সময় এসব কথা বলেন। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তিনি পৌরসভার রামগোপালপুর এলাকায় দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভা নির্বাচনে সকাল ৯টার দিকে আমার স্ত্রী সালিমা রহমান নুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়। সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে নিয়ম মেনে ভোট কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর বহিরাগত যুবক গোপন কক্ষে উপস্থিত থেকে জোরপূর্বক ভোট নৌকা প্রতীকে দিয়ে দেয়। আমার স্ত্রী ধানের শীষে ভোট দিতে চেয়েছিল। পরে আমার পুত্রবধূ মিথিয়াও একই কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট দিতে পারেনি। তার ভোটও গিয়েছে নৌকায়। তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের অবগত করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। এরপর থেকে কেন্দ্রগুলোতে অনিয়ম শুরু হয়। প্রশাসন যে কেন্দ্রে যায়, সাময়িক সময়ের জন্য সেখানে সুষ্ঠু ভোট হয়। এরপর ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে সেখানে অনিয়ম শুরু হয়। প্রশাসনের তৎপরতা ঠিক ছিল। মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হয় ভোটারদের।’
‘অনিয়মের ব্যাপারে প্রশাসনকে জানালে ব্যবস্থাগ্রহণ করে। কিন্তু একটি কেন্দ্রে শৃঙ্খলা ফিরলেও অন্য কেন্দ্রে আবার বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়ে যায়। কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিলে আমি গিয়ে ভেতরে দিয়ে আসলে আবার বের করে দেয়। বের করেছে কারা, এটা সবাই জানে। আমার পরিবারের মধ্যে আমি আর আমার মেয়ে শুধু ভোট দিতে পেরেছি। কিন্তু আমার স্ত্রী ও পুত্রবধূ ভোট দিতে পারেনি’, যোগ করেন তিনি।