বৃদ্ধ মুসা করিম। বাড়ি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে। তিনি বিষের বোতল হাতে করে গেলেন জেলা প্রশাসকের কাছে। বিষপানের অনুমতি চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করলেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মুসা করিম তার নাতি আকাশকে (৮) সঙ্গে নিয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এ আবেদন করেন।
সেখা তিনি জেলা প্রশাসককে বলেন, ‘আমি জহর (বিষ) খাই-ই মরবো। খুব কষ্ট কইরি ঘর কইরিলাম। ৭০ বছর ধইরি সেখানে বাস কইরিচি। এখন আমার সেই ঘরে থেকে বের করে দিছে। আমার জমি আমারে ফিরিয়ে দেন, নয়তো আমাকে বিষপানের অনুমতি দেন।’
এসময় জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। আর তাকে আত্মাহত্যার পথে না গিয়ে যতদিন বেঁচে থাকবেন স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করার অনুরোধ করেন।
গণমাধ্যমকে এই বৃদ্ধ জানান, তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে লাল চান্দের দুই স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রী শরীফা খাতুনের ছেলে আকাশ। শরীফাকে ভরণপোষণ না দেওয়ায় সে তার মা-বাবার বাড়িতে থাকে। লাল চাঁন দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখন সংসার করছে। বৃদ্ধের যে জমি-জায়গা ছিল সেগুলো সবার নামে সমবণ্টন করে দিয়েছেন। অবশিষ্ট ৪ কাঠা জমির ওপর বাড়ির জায়গাটি তার অসহায় নাতি আকাশের নামে লিখে দিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে তার বড় ছেলে লালচাঁদের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা খাতুন আমাকে ও বৃদ্ধের নাতি আকাশকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এখন বৃদ্ধ তার ছোট ছেলে আমির হোসেনের বাড়িতে থাকছেন। কিন্তু সেখানে তাদেরও সমস্যা। অনেক জায়গায় ঘুরেছেন বৃদ্ধ। কিন্তু কেউ তাকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি, যে কারণে বাধ্য হয়ে বিষের বোতল হাতে করে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানাতে যান তিনি।’
বিডি প্রতিদিন