সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাস্টার মাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই এবার মাতাল অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে বন্ধুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত ওই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। ভিকটিমের বাবা মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, গত ২৯ জানুয়ারি রাতে ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে ওই শিক্ষার্থী তার ছেলে বন্ধুর সঙ্গে মদপান করে। ওই ছেলের ভাষ্যমতে, এরপর তারা ওই রেস্টুরেন্টের ওয়াশরুমে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানেও তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরে ভিকটিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তার ছেলে বন্ধু এবং ওই বাসার মালিক ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে মেয়েটি মারা যায়।’
ওসি লতিফ বলেন, ‘মেয়েটির বাসা মোহাম্মদপুরে। এই খবর পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এসেছেন। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত মূল হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তবে তদন্তের স্বার্থে আপাতত গ্রেপ্তার দুজনের বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি। পূর্বপশ্চিমবিডি