কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনা বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হাইকোর্টের নির্দেশনায় গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটির সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদক মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) আ ন ম আল ফিরোজের সই করা চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের মাধ্যমে ‘সম্পদ বিনিয়োগ’ করে বিভিন্ন দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়ে গত ডিসেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক। ‘সেকেন্ড হোম’ প্রকল্পের আওতায় বিদেশে বিনিয়োগ কিংবা পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে নাম ওঠা বাংলাদেশিদের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় এক হাজার ১৫১ কোটি ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা।
বিভিন্ন ব্যক্তির অর্থপাচারের তথ্য চেয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ ৫০টি দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে দুদক, যার মধ্যে ২২ দেশ দুদকের পাঠানো চিঠির বিষয়ে সাড়া দিয়েছে।
সম্প্রতি সেকেন্ড হোম বা দ্বিতীয় আবাস গড়তে মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগ করেছেন, এমন ২৩ বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় দুদক। বিদেশে বিনিয়োগ করা অর্থের উৎস জানতে ওই ভিআইপিদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে সংস্থাটি। চিহ্নিত ২৩ ব্যক্তির মধ্যে রাজনীতিবিদসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে।