বৃটেনে কোভিডের ভয়াবহতা জনজীবনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। গতকালই প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৫৬ জন। মহামারী শুরুর পর এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে।
১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট সূত্র মতে, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সপ্তাহান্তে লকডাউন আরও শক্ত করতে মন্ত্রী পরিষদ প্রস্তুত। জনস্বাস্থ্য ইংল্যান্ডের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. য়োভন ডয়েল বলেছেন, এখন দ্বিতীয় স্তরে প্রথমের চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, ব্রাজিলে পাওয়া কোভিড-১৯ এর নতুন রূপটি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। ব্রাজিলিয়ান রূপটি বৃটেনে প্রবেশ বন্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। ব্রাজিল থেকে আসা বিমানগুলি নিষিদ্ধ করা হবে কিনা সে বিষয়ে মন্ত্রীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
স্কটল্যান্ডের লোকেরা শনিবার থেকে আরও কঠোর লকডাউন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন।
বৃটেনে গতকাল ছিল সবচেয়ে মারাত্মক দিন।
একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড ছিল সর্বোচ্চ। তবে সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রাদুর্ভাব অবশেষে কমতে শুরু করছে। পরশু ৬২ হাজার ৩২২ জন আক্রান্ত ছিলেন। গতকাল ২৩.৭ শতাংশ কমে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৫২৫ জন। এভাবে সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সংক্রমণের ধীর গতির ‘প্রারম্ভিক’ লক্ষণকে স্বাগত জানিয়েছেন। কঠোরভাবে জাতীয় লকডাউন কার্যকর করায় কোভিডের আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে বলে তিনি আশবাদী। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, ব্যবস্থাগুলি পর্যালোচনার অধীনে রাখা হচ্ছে।
কমন্স লিয়াজোঁ কমিটিতে কথা বলতে গিয়ে বরিস জনসন বলেছেন, এনএইচএস পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত কঠিন’ এবং কর্মীদের ওপর ‘গুরুতর’ চাপ রয়েছে। স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দার্ণ আয়ারল্যান্ডের অনেক অংশ জুড়ে একই রকম অবস্থা চলছে।
বরিস জনসন বলেছেন, সরবরাহ বৃদ্ধির সাথে সাথে কোভিড ভ্যাকসিন ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন প্রদান করা হবে। এই মুহুর্তে বেশিরভাগ সাইটগুলি ৮টা থেকে ২২টা অবধি চলছে। ২৪-৭ পরিষেবা শুরু হলে এবং প্রায় তিন মাস গণটিকা দেয়ার পরে বৃটেন ‘আলাদা জায়গায়’ থাকবে।
অপরদিকে লকডাউন আরও কতদিন চালিয়ে যেতে হবে তা বলা ‘অসম্ভব’ বলে মনে করছেন হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাট হ্যানকক। তার মতে, ভ্যাকসিন দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। এই সময়ে সবাইকে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।