খাস কামরায় নারী বিচারপ্রার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক বিচারকের বিরুদ্ধে। ওই বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বরাবর একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ ওঠার একদিন পর ওই বিচারক বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সাতদিনের ছুটিতে গেছেন।
ওই বিচারকের নাম কনক বড়ুয়া। যিনি ঢাকার সিএমএম আদালতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্বরত।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারী একটি মামলার বাদী। তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য দিন ধার্য থাকায় তিনি ও তার পরিবার ওই আদালতে হাজির হন। ভুক্তভোগী ওই নারী ম্যাজিস্ট্রেট কনক বড়ুয়ার খাস কামড়ায় জবানবন্দি দিতে যান।
ওই নারী খাস কামড়ায় গেলে কনক বড়ুয়া দরজা ও জানালা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বলেন, এটা তো মিথ্যা মামলা। এই মামলা তো কোনো আদালত নেবে না। ওই নারীর কোথায় আঘাত করা হয়েছে তা দেখতে ম্যাজিস্ট্রেট কনক বড়ুয়া তার বোরখা খুলে ফেলেন। এরপর ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে শুরু করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বাধা দিলে ম্যাজিস্ট্রেট কনক বড়ুয়া তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, কথা না শুনলে তার সাক্ষ্য নেবেন না।
তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন। এরপর ওই নারী খাস কামরা থেকে জোর করে বের হয়ে আসেন। অভিযোগের একটি অনুলিপি ঢাকার মাহনগর ও জেলা দায়রা জজ এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতিকেও দেওয়া হয়।
শীর্ষনিউজ