ক্যাপিটল পুলিশের বিদায়ী প্রধান স্টিভেন স্যান্ড বলেছেন, বুধবার ক্যাপিটল হিলের সন্ত্রাসী হামলা থামাতে তিনি প্রাণপন প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ব্যাকআপ ফোর্স চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বার বার অনুরোধ করেও কোনো সাড়া পাননি। সময়মতো সাহায্য পাওয়া গেলে এমন সন্ত্রাসী হামলা ঠেকানো যেত বলে মনে করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে বলেন, আমি ছয়বার সাহায্য চেয়ে কল করেছি বিভিন্ন জায়গায়
কিন্তু আমাকে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। কেবল অপেক্ষা করতে হয়েছে। এড়িয়ে গেছে সকলে।
স্যান্ড পোস্টকে বলেন, তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন এই প্রতিবাদ সমাবেশ যে কোনো সময় ভয়ংকর সহিংস হয়ে উঠতে পারে। বিশাল আকারের সমাবেশ ছিল। বহু মানুষ জমায়েত হয়েছিল।
বেলা ১১ টায় তিনি ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ প্রধান রর্বাড কন্টিকে কল করে সাহায্য চাইলে তিনি ১শ’ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেন।
বেলা ১ টা ৯ মিনিটে স্যান্ড ন্যাশনাল গার্ড
মোতায়েনের জন্য হাউস সার্জেন্ট অব আর্মস পল ইরভিং এবং সিনেট সার্জেন্ট অব আর্মস মাইকেল স্টেনজারকে ফোন করে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের জন্য অনুমতি চান। তারা নিজেই নিরাপত্তার কাজটি দেখভাল করবেন বলে তাকে জানান। পরে আবার তিনি দুই বার তাদের কল করেন। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি। শেষে ২ টা ১০ মিনিটে হাউস ও সিনেটের দুই সার্জেন্ট অব আর্মসের অনুমোদন পাওয়া যায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করতে।
এই আদেশ পেয়ে ২ টা ২৬ মিনিটে স্যান্ড পেন্টাগনের আর্মি স্টাফের পরিচালক লেঃ জেঃ ওয়াল্টার পিয়াতকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে ন্যাশনাল গার্ড পাঠাতে সাহায্য চান। কিন্তু জেনারেল পিয়াত তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। পরে আবার ফোন করে স্যান্ড পিয়াতকে বলেন, খুবই জরুরি, জরুরি আপনি ন্যাশনাল গার্ড পাঠান তাড়াতাড়ি। তখন
পিয়াত স্যান্ডকে বলেন, ক্যাপিটল হিলের পটভূমিতে পুলিশের সাথে ন্যাশনাল গার্ডের দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য তিনি পছন্দ করেন না। শেষ পর্যন্ত ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয় বেলা
৩ টা ১০ মিনিটে এবং গার্ডরা ক্যাপিটল হিলে এসে পৌঁছায় সন্ধ্যা ৫ টা ৪০ মিনিটে। ততক্ষণে সন্ত্রাসীদের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ক্যাপিটল ভবন।
উল্লেখ্য, পরিস্হিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার সমালোচনার মুখে ক্যাপিটল পুলিশের প্রধান
স্টিভেন স্যান্ড পদত্যাগ করেন। তার এই পদত্যাগ ১৬ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।