হাইকোর্ট বলেছেন, দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম), ডিজিএম, নির্বাহী পরিচালক, ডেপুটি গভর্নরসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতে অর্থনৈতিক দুর্বৃত্ত এবং অপরাধীদের পুষে রাখে। রায়ে বলা হয়েছে, দেশের সরকার প্রধান যখন দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ঠিক তখন তারা (বাংলাদেশ ব্যাংকের ওইসব কর্মকর্তারা) এ কাজে ব্যস্ত।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। সোমবার প্রকাশিত পূর্নাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যদিও গত ১৭ ডিসেম্বর এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কম্পানি লিমিটেডের(বিআইএফসি) বর্তমান পরিচালনা বোর্ড বিলুপ্ত করার নির্দেশনা চেয়ে করা এক আবেদনে এ রায় দেন আদালত। বিআইএফসির শতকরা ১০ ভাগ শেয়ারের মালিক হিসেবে ‘টি’স মার্ট ইনক’ নামের একটি কম্পানি গত বছর এ আবেদন করেছিল। ওই আবেদনে বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ও তার অনুসারী কর্তৃক গত ৫ বছরে বিআইএফসির বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে স্বাধীন অডিটর নিয়োগেরও আরজি জানানো হয়েছিল।
রায়ে বলা হয়েছে, এটা এমন একটি ঘটনা, যেখানে দেশের আর্থিক খাতে ধ্বংস ডেকে আনতে ২০০২ সাল থেকে ওই কর্মকর্তা (জিএম) কাজ করে চলেছেন। সুতরাং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এখনই ওইসব কর্মকর্তাদের এসব কাজ থেকে নিবৃত করতে এবং অপরাধীদের খারাপ পরিকল্পনা থেকে দেশের জনগণের অর্থ আত্মসাত থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।