বাবা হলেন পুলিশের ইন্সপেক্টর। স্বপ্ন ছিল তার মেয়ে বড় পুলিশ অফিসার হবে। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। মেয়ে এখন পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট (ডিএসপি)। পদমর্যাদায় বাবার অনেক ওপরে। এবার কর্মক্ষেত্রে দেখা হয়ে গেল তাদের। পদমর্যাদায় উঁচু মেয়েকে স্যালুট ঠুকলেন বাবা। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের পোস্ট করা এই টুইট দেখে এখন আবেগে ভাসছেন সোশ্যাল সাইট ইউজাররা।
১৯৯৬ সালে পুলিশে যোগদান করেছিলেন শ্যাম সুন্দর। তখন থেকেই তার স্বপ্ন ছিল মেয়েকে বড় পুলিশ অফিসার বানাবেন। তার মেয়ে জেসি প্রশান্তি বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। যোগ দিয়েছেন পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট (ডিএসপি) হিসেবে। সম্প্রতি ২০২১ সালের তিরুপাতি পুলিশের ডিউটি মিটে দেখা হয়ে যায় বাবা-মেয়ের। কর্মস্থলে মেয়েকে দেখে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভুলে পেশাদারিত্বের পরিচয় দেন বাবা।
দুইজনই পরে ছিলেন পুলিশের ইউনিফর্ম, মুখে ছিল হাসি। মেয়েকে দেখে কল্যাণী দাম পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বর্তমানে সার্কেল ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত বাবা স্যালুট ঠুকেন। মুখে বলেন, ‘নমস্কার ম্যাডাম’। বাবাকে স্যালুট ঠুকতে দেখে মেয়ের চোখ ছলছল করে ওঠে, মুখে লেগে ছিল হাসি। তিনি জবাবে বলেন, ‘ধন্যবাদ বাবা’। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভুলে দায়িত্বে পালনে আন্তরিক বাবা-মেয়ের এমন অসাধারণ সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করেন অন্য কর্মকর্তারা।
অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের করা টুইটটি ভাইরাল হলে তা মিডিয়ার নজরে আসে। জি নিউজ ইন্ডিয়াকে বাবা শ্যাম সুন্দর বলেন, ‘প্রথমবারের জন্য কর্তব্যরত অবস্থায় মেয়ের মুখোমুখি হলাম। একসঙ্গে কাজ করতে পারায় আমি গর্বিত। মেয়ে আমার থেকে সিনিয়র, তাই স্যালুট করেছি। আমি বিশ্বাস করি আমার মেয়ে তার কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করবে এবং গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াবে।’
বিষয়টি নিয়ে তিরিপাটি জেলার এসপি রমেশ রেড্ডি বলেন, ‘এমন অসাধারণ দৃশ্য আমরা সাধারণত সিনেমায় দেখে থাকি। হিন্দি মুভি “গঙ্গাজল” এর কথা আমার খুব মনে পড়ে। আমি প্রশান্তিকে ব্যক্তিগতভাব অভিবাদন জানাতে চাই, সে তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে। তার জন্য শুভকামনা জানাই।’