আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন
ভারতের এই দাবির বিষয়টি সম্প্রতি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় স্থান পাওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশের বাসিন্দারা আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
রোববার পত্রিকাটি প্রতিবেদনে বলেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল, হিলি-তুরা ভায়া বাংলাদেশ করিডোর তৈরি। করিডোর নিয়ে এগোনোর বিষয়ে হাসিনার কাছে মোদি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলেও জানাগেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মেঘালয় পৌঁছতে এখন এই পথে দুদিন সময় লাগে। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে মেঘালয়ে তুরা পর্যন্ত করিডোর চালু হলে সেই দূরত্ব কমে হবে মাত্র ৮৬ কিমি। সময় লাগবে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এখন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে সড়কপথে কয়লা ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ আনতে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টারও বেশি। একই সময় লাগে এ রাজ্য থেকে মাছ ও কাঁচামাল গুয়াহাটি হয়ে ঘুরপথে মেঘালয় সহ উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিতে পাঠানোর ক্ষেত্রেও।
যৌথ করিডোর আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাস জানান, ২০১২ সালে কংগ্রেস সরকারের আমলে প্ল্যানিং কমিশন এক নম্বরে হিলি-তুরা করিডোরকে তালিকায় রেখে প্রস্তাব দিলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ বিষয়ে আন্দোলন কমিটির পক্ষে দিল্লি ও ঢাকার সংশ্লিষ্ট বিভাগের মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে দাবি জানানো হয়। এতদিন দুই বাংলা ও মেঘালয়ের দাবি হিসেবে থাকলেও সম্প্রতি মোদি-হাসিনার বৈঠকে তা জাতীয় দাবি হিসেবে স্বীকৃতি পেল বলে মনে করেন নবকুমার।