বেসরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি লা মেরিডিয়ান। অথচ ‘সরকারি মালিকানার তকমা’ দিয়ে বিধিবর্হিভূতভাবে শেয়ারবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুটের অভিনব এক আয়োজন সম্পন্ন করেছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পরিষদ। সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া ও পরবর্তীতে শেয়ারে রুপান্তর করায়, এমনটি করার চেষ্টা চলছে। অথচ হোটেলটি নির্মাণ ও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে পুরো বেসরকারিভাবে। আর এ কাজটি করা হয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কোনো অনুমোদন ছাড়াই। তবে বিএসইসি’র হস্তক্ষেপে লা মেরিডিয়ানের বিতর্কিত ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের বিষয়টি বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে ডিএসই। এদিকে অর্থ লুটের অভিনব এ আয়োজনে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের জন্য লা মেরিডিয়ানের ইস্যু ব্যবস্থাপনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখানো হয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে। গতকাল আইসিবি বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বেসরকারি একটি কোম্পানিকে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কয়েক শ’ কোটি টাকা তুলে নেয়ার এ চেষ্টার কথা জানতে পেরে ছুটির দিনে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে বিএসইসি। বিজয় দিবসের ছুটির মধ্যেই জরুরি নির্দেশনা দিয়ে ডিএসই’র পরিষদ সভায় কোম্পানিটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিএসই’র কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করা হয়। গত বৃহষ্পতিবার ডিএসই’র বোর্ড সভায় বিধিবর্হিভ‚তভাবে লা মেরিডিয়ানকে ডাইরেক্ট লিস্টিং করানোর বিষয়ে আলোচনা করার জন্য রাখা হয়েছিল। বিএসইসি’র হস্তক্ষেপের কারনে তা বাদ দেয়া হয়েছে। আপাতত অনিয়মের মাধ্যমে লা মেরিডিয়ানের ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের বিষয়ে বিএসইসির চিঠির জবাব দেবে ডিএসই।
সূত্র মতে, আইন করে শেয়ারবাজারে বেসরকারি কোম্পানির সরাসরি তালিকাভুক্তি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। কিন্তু সেই আইনের ফাঁকফোকর খুঁজে বের করে বেসরকারি লা মেরিডিয়ান হোটেলকে সরকারি মালিকানার কোম্পানি বানিয়ে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিলেন ডিএসই’র প্রভাবশালী সদস্য রকিবুর রহমান। যিনি ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে দুবারের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির জন্য অভিযুক্ত। তার এ কাজে সহায়তা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে গত ৮ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রীর একটি চিঠিকে। অবকাঠামো প্রকল্প অর্থায়নে সরকারি ও বেসরকারি তফসিলী ব্যাংকের গৃহিত ইক্যুইটি এক্সপোজারে তারল্য সৃষ্টি ও ঝুঁকি কমানোর জন্য এ সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের জন্য করণীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর ওই চিঠির ভিত্তিতে বেসরকারি লা মেরিডিয়ানকে ডাইরেক্ট লিস্টিং করানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়। যদিও বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সেটা ছিল সাংঘর্ষিক।
তবে বিষয়টি বুঝতে পেরে গত বৃহষ্পতিবার অর্থমন্ত্রণালয় থেকে অবকাঠামো খাতের কোম্পানিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের কার্যক্রম গ্রহণ না করার অনুরোধ করা হয়। অর্থমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে তার একান্ত সচিব ড. মো. ফেরদৌস আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠান।
এদিকে লা মেরিডিয়ানকে সরাসরি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে ইস্যু ব্যবস্থাপনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখানো হয়েছে রেস পোর্টফোলিও অ্যান্ড ইস্যু ম্যানেজমেন্ট এবং আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডকে। তবে গতকাল শুক্রবার আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা দাশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, লা মেরিডিয়ানের কোন প্রকার ইস্যুতেই তারা ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেনি এবং কোন চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়নি।
সূত্র মতে, বিএসইসির অনুসন্ধানে লা মেরিডিয়ানের ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের বিষয়ে বেশকিছু অনিয়ম উঠে এসেছে। ডিএসই’র এমন কর্মকান্ডে নাখোশ বিএসইসি। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চেয়ে গত ১৫ নভেম্বর ডিএসইকে চিঠি দেয়া হয়। যা পাওয়ার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বিএসইসি বেসরকারি কোম্পানির ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ে নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও এজেন্ডায় লা মেরিডিয়ানের অন্তর্ভূক্তির কারন এবং ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের চিঠিটি যে অর্থমন্ত্রীই দিয়েছেন, সেটা ডিএসই কিভাবে নিশ্চিত হয়েছে, তা কমিশন জানতে চেয়েছে। একইসঙ্গে চিঠিতে আরও কিছু বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। যার জবাব চিঠি পাওয়ার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। আর বিষয়গুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের প্রক্রিয়া স্থগিত করতে বলা হয়েছে। এরপরই গত বৃহষ্পতিবার অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে লা মেরিডিয়ানকে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের কার্যক্রম গ্রহণ না করার অনুরোধ করা হয়।
বিএসইসির চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, ডিএসই’র ২০১৫ সালের লিস্টিং রুলসে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে সব কোম্পানির শেয়ার অফলোড করার সুযোগ রাখা ছিল। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশন (বিএসইসি) ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর সরকারি কোম্পানি ছাড়া অন্যসব ক্ষেত্রে ডাইরেক্ট লিস্টিং নিষিদ্ধ করেছে। তারপরেও কিভাবে বেসরকারি লা মেরিডিয়ানকে ডাইরেক্ট লিস্টিং করা সম্ভব।
এছাড়াও বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোম্পানিটিতে বিভিন্ন ব্যক্তির মালিকানা ৫২ দশমিক ০১ শতাংশ। এছাড়া ৪৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ মালিকানা রয়েছে প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের। এরমধ্যে সরকারি ৪ ব্যাংকের মালিকানা ২৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ (সোনালি ব্যাংকের ৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, জনতা ব্যাংকের ৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, অগ্রণী ব্যাংকের ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ ও রূপালি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ)।
কাগজে-কলমে ৫ হাজার কোটি টাকা সম্পদমূল্যের ‘লা মেরিডিয়ান হোটেল’ শেয়ারবাজারে আসার আগেই কোম্পানিটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৪ ব্যাংকের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করে। ব্যাংকগুলো প্রাইভেট প্লেসমেন্টে প্রতিটি শেয়ার ৬৫ টাকায় কেনে। একটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর চাপেই মূলত রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে প্লেসমেন্টে চড়া দামে শেয়ার কিনতে বাধ্য করা হয়। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের কেনা শেয়ারের ‘মালিকানার’ অংশের কারণেই কোম্পানিটিকে সরকারি কোম্পানির তকমা দিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য অর্থমন্ত্রীর লেখা একটি চিঠিকেও ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এদিকে সরকারি ব্যাংক থেকে টাকা নেয়ার ক্ষেত্রে শর্ত ছিল কোম্পানিটি আইপিওতে আসার আগ পর্যন্ত তারা ১০ শতাংশ সুদ দিবে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কোন সুদ দেয়নি কোম্পানিটি। যদিও এ ব্যাপারে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস্-উল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেছেন, ‘গত ডিসেম্বর পর্যন্ত লা মেরিডিয়ানের সুদ পরিশোধিত। বছরে একবার নেয়া হয়। নতুন যেটা বকেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে পাওনা পেয়ে যাবো।’
এদিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হোটেল কোম্পানিগুলোর ব্যবসার দুরাবস্থার কারনে শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের এমনিতেই চাহিদা নেই। যে কারণে প্রিমিয়াম নেয়া হোটেলগুলোর শেয়ার এখন ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থা করছে। এরমধ্যে দিয়েই এবার উচ্চ প্রিমিয়ামে শেয়ার অফলোড করতে চায় বেস্ট হোল্ডিংস (হোটেল লা মেরিডিয়ান)। তাও আবার বিধিবর্হিভূতভাবে।
সূত্র মতে, লা মেরিডিয়ানের বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ৮৭১ কোটি টাকা। কোম্পানিটির সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা। এই ইপিএস নিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার অফলোড করতে চায় সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা করে। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারে সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা প্রিমিয়াম নিতে চায়। যেখানে এরচেয়ে ভালো ব্যবসার হোটেল কোম্পানিগুলোর শেয়ার তলানিতে। এদিকে প্রতিটি ৬৫ টাকায় শেয়ারবাজারে ৪ দশমিক ৩৫ কোটি শেয়ার অফলোড করতে চায় লা মেরিডিয়ান। যা হবে মোট শেয়ারের ৫ শতাংশ। এটা ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের নিয়ম বর্হিভূত। এই লিস্টিংয়ের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ শেয়ার অফলোডের কথা বলা আছে। এছাড়া ডাইরেক্ট লিস্টিং রুলসে দর নির্ধারনের প্রক্রিয়া বলা আছে। সে হিসাবে দর কত হবে, তা আগেই নির্ধারন করে দেয়ার সুযোগ নেই।
সূত্র মতে, নিজে ঋণ নিয়ে পরবর্তীতে শেয়ারে রুপান্তর করা লা মেরিডিয়ান থেকে আবার ৩টি সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৯৪৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬৩১ কোটি ২২ লাখ টাকা (এরমধ্যে প্রিমিয়াম ৬৩০ কোটি ৩১ লাখ টাকা) বিনিয়োগ করা হয়েছে বেস্ট সার্ভিসেস লিমিটেডে। যে কোম্পানিটি সর্বশেষ অর্থবছরে মাত্র ৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আয় করেছে। আর বাকি দুটি কোম্পানি ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত কোন আয় করেনি।
এছাড়া ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের ক্ষেত্রে বোনাস শেয়ার ব্যতিত অন্যকোন উপায়ে বিগত ২ বছরের মধ্যে শেয়ার ইস্যু না করার জন্য ডিএসইর বিধান রয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটির ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে নগদে প্রাইভেট প্লেসমেন্টে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৪৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ও নগদ ব্যতিত অন্যভাবে ১৮৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার মূলধন বাড়ানো হয়। এসত্তে¡ও লা মেরিডিয়ানকে শেয়ারবাজারে আনার জন্য একটি গ্রুপ উঠে পড়ে লেগেছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটিতে ব্যাংকের লগ্নি করা অর্থ ও প্রাইভেট প্লেসমেন্টে শেয়ার কেনা কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা অর্থ ফিরিয়ে দিতেই এটিকে যেকোনো উপায়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। এ যাত্রায় বিএসইসির হস্তক্ষেপে আপাতত উদ্যোগটি ভেস্তে গেলেও এটির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে। আর কোম্পানিটিতে বিপুল মূলধন বিনিয়োগে বাধ্য হওয়া রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলো তাদের এ অর্থ কীভাবে ফেরত পাবে, আদৌ ফেরত পাবে কি না, সেটি নিয়েও আছে সংশয়।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ডিএসই’র বোর্ড মিটিংয়ে লা মেরিডিয়ানের ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের বিষয়টি আলোচ্যসূচীতে (এজেন্ডা) রাখা হয়েছে। তবে অন্যান্য আলোচনার বিষয়গুলো আগেই পরিচালকদের পাঠানো হলেও লা মেরিডিয়ানের ইস্যুটি গত বুধবার সরকারি ছুটির দিন সকালে পাঠানো হয়েছে। অনেকটা চুপিসারে কাজটি করতে চেয়েছিলেন ডিএসই’র ওই বিতর্কিত পরিচালক রকিবুর রহমান। যার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বোর্ড মিটিংয়ের এজেন্ডা পাঠানোর দায়িত্ব পালন করা ডিএসই’র সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।
ডিএসই’র পুরাতন এক ট্রেকহোল্ডার বলেন, বিধিবর্হিভূতভাবে লা মেরিডিয়ানকে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে শেয়ারবাজারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা সফল হলে কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবেন। আর ক্ষতিগ্রস্থ হবে শেয়ারবাজার। এর আগে আমরা বেসরকারি ওশান কন্টেইনার লিমিটেডকে (ওসিএল) এই পদ্ধতিতে লিস্টিং হতে দেখেছি। যার এখন কোন অস্তিত্ব নেই।
এ বিষয়ে বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা বেস্ট হোল্ডিংসের (লা মেরিডিয়ান) ডাইরেক্ট লিস্টিং নিয়ে ডিএসই’র বোর্ড মিটিংয়ের এজেন্ডার বিষয়টি জানতে পারি। এর আলোকে কমিশন কোম্পানিটির নানা বিষয় ও ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের প্রক্রিয়ার কিছু বিষয়ে জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য ডিএসইকে চিঠি দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরে আসার পর কমিশনের পক্ষ থেকে আইনানুগ যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, সেটিই করা হয়েছে।