অন্যের স্বামীর সঙ্গে প্রেম, অতঃপর যেভাবে বিয়ে হয় রানি মুখার্জি ও আদিত্য চোপড়ার

আদিত্য চোপড়া এবং রানি মুখার্জির প্রেম পর্ব হার মানায় যে কোনও সুপারহিট হিন্দি ছবির চিত্রনাট্যকে। প্রযোজক আদিত্যকে বিয়ে করার সময় রানির নামে অপবাদ উঠেছিল তিনি সংসার ভেঙে দেন।

সমসাময়িক নায়িকাদের থেকে কিছুটা দেরিতেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন রানি। বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ ছবি দিয়ে। কিন্তু রানিকে কোনও দিন ‘বি গ্রেড ছবির নায়িকা’ হিসেবে দেখেননি আদিত্য।

শোনা যায় ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে টিনার ভূমিকায় রানিকে নেওয়ার জন্য আদিত্যই বলেছিলেন করন জোহরকে। এই ছবির পর রানিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

 

আদিত্য-রানির বন্ধুত্বের কথা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বলিউডে রানিকে আক্ষরিক অর্থে ‘রানি’ করেছিলেন আদিত্যই। টিনসেল টাউনে সকলে বুঝেছিল রানির পিছনে আদিত্য আছেন।

কিন্তু তাদের প্রেম বহু ওঠাপড়ার সাক্ষী। রানিকে চোপড়া পরিবারে কেউ পছন্দ করতেন না। আদিত্যের মা তথা যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলাও ছিলেন এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে।

কিন্তু প্রথম স্ত্রী পায়েলের সঙ্গে আদিত্যের সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না। তিনি যে করেই হোক বিয়ে থেকে মুক্তি চাইছিলেন।

‘কাভি আলবিদা না কেহনা’ ছবির শ্যুটিং শেষে বাড়িতেই ফেরেননি আদিত্য। পরিবর্তে তিনি একটি পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন। বাড়ির লোকের কাছে শর্ত রাখেন, যদি তার প্রথম স্ত্রী পায়েল বাড়ি ছেড়ে চলে যান, তবেই তিনি ফিরবেন।

যশ এবং পামেলা চোপড়া ছেলের এই দাবি মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। কারণ, তারা পায়েলকে ভালবাসতেন। কিন্তু শোনা যায়, শেষ অবধি আদিত্য হুমকি দেন, ডিভোর্স করতে না পারলে তিনি আলাদা প্রোডাকশন হাউস খুলবেন।

এই সময় শোনা যেতে থাকে, আদিত্য ও রানি এবার সম্পর্ক নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবছেন। সে সময় রানি সাক্ষাৎকারে বলেওছিলেন তিনি আদিত্যের শুধুই ভাল বন্ধু। আদিত্য ডিভোর্স করার পর তবেই নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে ভাববেন তারা।

অন্যদিকে পায়েল ছিলেন চোপড়া পরিবারে প্রিয় বধূ। তাদের প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেও পায়েল ছিলেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

কিন্তু পায়েল জোর করে বিয়ে টিকিয়ে রাখতে পারেননি। বিচ্ছেদের পর তিনি চোপড়া পরিবার ছেড়ে সিঙ্গাপুরে চলে যান।

রানি এবং আদিত্য দু’জনেই কিন্তু তাদের সম্পর্ক লুকিয়ে রেখেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তারা কোনওদিন মুখ খুলতেন না। তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন জোরালো হয় ‘বীর জারা’ ছবির সময়ে। তখন আদিত্যের জন্য বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে যেতেন রানি।

বিয়ের আগে থেকেই আদিত্যের যোগ্য সহধর্মিণী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন রানি। যশ চোপড়ার মৃত্যুর পর তিনি আদিত্যের পাশে ছিলেন মানসিক শক্তির স্তম্ভের মতো।

২০১২ থেকেই তাদের বিয়ের গুঞ্জন জোরালো হয়। এর পর এক অনুষ্ঠানে শত্রুঘ্ন সিনহা প্রকাশ্যে রানিকে সম্বোধন করেন ‘রানি চোপড়া’ বলে। ফলে সম্ভাবনা আরও পোক্ত হয়ে ওঠে।

২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল আদিত্য ও রানি যৌথভাবে জানান, তারা বিয়ে করেছেন। পরের বছর জন্ম হয় তাদের একমাত্র মেয়ে আদিরার।

তবে বিয়ের পরও নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই রেখেছেন আদিত্য ও রানি। মেয়ে আদিরাকেও তারা রেখেছেন প্রচারের আলো থেকে দূরেই। সূত্র: আনন্দবাজার

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ