তিস্তা চুক্তি না হওয়া ও সীমান্তে হত্যা বন্ধ না হওয়া বাংলাদেশের মানুষকে হতাশ করে। তবে এবার কলঙ্ক ঘুচিয়ে সুন্দর সম্পর্কের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনা-মোদী ভার্চুয়াল সম্মেলন শেষ এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তা নিয়ে সব কিছু প্রস্তুত। এ বিষয়ে ভারত সবার সাথে পরামর্শ করে যাচ্ছে। তারা বিশ্বাস করে রোহিঙ্গা ইস্যুরও দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।
এসময় নিরাপত্তা কাউন্সিলের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত, জানান মন্ত্রী।
এদিকে, সিলেটে কুশিয়ারা নদীতে বাংলাদেশের খাল খনন কাজে বিএসএফের বাধা তুলে নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সীমান্তে নরেন্দ্র মোদির সরকার কোন প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ব্যাপারে নির্দেশ দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তে যাতে কোন নিরীহ মানুষ প্রাণ না হারায় সেজন্য যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলেও জানানো হয়।
সম্মেলন শেষে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে ঢাকা আসার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এসময়, বাংলাদেশের মানুষকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।