ঘুষ গ্রহণ, অর্থ লোপাট ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপার যাবতীয় ব্যাংক হিসাব জানতে চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সরকারি-বেসরকারি ৫৬টি ব্যাংকে বৃহস্পতিবার এ চিঠি দেয়া হয়েছে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্বাক্ষরিত চিঠিগুলো ব্যাংকগুলোর এমডি বরাবর পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া রূপাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ২৭ জানুয়ারি তলব করেছে দুদক। ওইদিন রূপাকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টের কপি ও নথিপত্রসহ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
গত ২৯ অক্টোবর ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে বিতর্কিত ঠিকাদার ও যুবলীগ নেতা জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ লোপাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে রূপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৪ নভেম্বর তলব করে দুদক। কিন্তু রূপা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি সেদিন দুদকে হাজির হননি।
দুদকের এই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রূপার পক্ষে রিট করা হয়। ৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ ও পর্যবেক্ষণ দেন। আদালত বলেন- বিচার অঙ্গনে দুর্নীতি নির্মূলে দুদককে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। দুর্নীতিবিষয়ক ওই রিটের শুনানিকালে আদালত আরও বলেন- সবার মনে রাখা উচিত কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।